ফেরির ওপর নিয়ন্ত্রণ কম এবং পদ্মার তীব্র স্রোতে ফেরি ‘কাকলি’ চালানো হলে সেতুর পিলারে ধাক্কা লাগতে পারে উল্লেখ করে গত ১১ আগস্ট বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহ-মহাব্যবস্থাপকের (বাণিজ্য) কাছে চিঠি দিয়েছিলেন ফেরির মাস্টার বাদল হোসেন।
কিন্তু লিখিত দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুট থেকে এ ফেরি সরিয়ে অন্য রুটে দেওয়ার আবেদনও রাখা হয়নি।
ফেরির ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার বাদল হোসেনের করা লিখিত আবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ফেরির ইংল্যান্ড মাস্টারের করা আবেদনের কপি সময় ট্রিবিউনের হাতে এসেছে।
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টায় পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয় ফেরি ‘কাকলি’।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহ-মহাব্যবস্থাপকের (বাণিজ্য) কাছে করা আবেদনে বলা হয়, ফেরিটি মেকানিক্যাল (চেইন সুকান) হওয়ার কারণে নিয়ন্ত্রণ কম হচ্ছিল। এর কারণে পদ্মাসেতুর পিলারে ধাক্কা লাগতে পারে। তাই, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে না রেখে অন্য রুটে স্থানান্তর করার জন্য বলা হচ্ছে।
পরে ফেরির মাস্টার অফিসার বাদল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রচণ্ড স্রোতের কারণে ফেরি চালানো যাচ্ছিল না এ নৌপথে। যার জন্য গত ১১ আগস্ট লিখিত আকারে রিপোর্ট দিয়েছিলাম। লিখিত দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেছেন, সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কার ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ নিয়ে গত জুলাই ও আগস্টে পদ্মা সেতুর তিনটি পিলারে চারবার ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটল।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, ২০ জুলাই প্রথম পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রো রো ফেরি শাহ মখদুমের তলা ছিদ্র হয়ে যায়। ২৩ জুলাই মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা রো রো ফেরি শাহজালাল ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা দিলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর গত সোমবার সন্ধ্যায় রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ১০ নম্বর পিলারে সজোর ধাক্কা খায়। এসব ঘটনায় সেতুর পিলারের পানি লাগোয়া অংশে (পাইল ক্যাপ) পলেস্তারা উঠে গর্তের সৃষ্টি করেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: