আওয়ামীলীগের উপ কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন মাদারীপুরের লায়ন মোল্লা মেরাজ। এই সহ-সম্পাদক পদ বিক্রি করে প্রতারণা করাই তার কাজ। চাকরি, পদোন্নতি, বিদেশে পাঠানো সহ অন্যান্য তদবীরের নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকার উপরে।
সম্প্রতি ছবি এডিট করে জালিয়াতি কান্ডে আটক আরেক উপ কমিটির নেতা দর্জি মনিরের কর্মকান্ডের সাথে তার রয়েছে ব্যাপক মিল। সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে ছবি তুলে সে ছবি পুঁজি করে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতেন তিনি।
বিভিন্ন সময় নিজে বাজার থেকে গিফট আইটেম কিনে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে বলতেন প্রধানমন্ত্রী উপহার পাঠিয়েছেন। গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করা তার জন্য ছিল একেবারেই সহজ কাজ। এভাবেই বড় কর্মকর্তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলতেন তিনি।
বড় কর্মকর্তাদের সাথে সখ্যতা দেখেই বিশ্বাস করতে থাকেন অনেকে আর সর্বস্ব হারান। এমনই একজন নোয়াখালীর সেনবাগের ফাতেমা আক্তার। তার কাছ থেকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছেন ৫ লক্ষ টাকা। খুলনার এক কলেজ ছাত্রের কাছ থেকে এসেনশিয়াল ড্রাগস এ চাকরি দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছেন তিন লক্ষ টাকা। আরেক যুবক কে ইতালী পাঠানোর জন্য নিয়েছেন ২ লক্ষ টাকা। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রমাণ ও কল রেকর্ড সময় ট্রিবিউনের হাতে এসেছে।
লায়ন মোল্লার বিপক্ষে এ ধরণের প্রায় অর্ধশত সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মাদারীপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তিনি এসব অপকর্ম করেছেন বলে অভিযুক্তদের বক্তব্যে জানা গেছে। লায়ন সব সময় নিজেকে আব্দুস সোবহান গোলাপ কে নিকট আত্মীয় হিসেবে উপস্থাপন করতেন।
এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য লায়ন মোল্লা মাজেদের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন পিক করেন নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: