চিত্রনায়িকা পরীমনিকে গ্রেফতারের দিন সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও তাদের সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়।
মামলা প্রথমে পুলিশের কাছে থাকলেও পরে ডিবিতে নেওয়া হয়। পরে পুলিশ সদরদপ্তরের আদেশে মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে তাদের জিজ্ঞসাবাদ করছে সিআইডি।
এর আগে অভিযানে আলোচিত–সমালোচিত এসব ব্যক্তির বাসা–অফিস থেকে বিদেশি মদ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারের কথা বলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদকালেই রোববার রাতে রাজের বনানীর বাসায় তল্লাশি চালায় তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি দল। তল্লাশি অভিযানে একটি হ্যারিয়ার (ঢাকা মেট্রো-গ-১৩-৪৬১৭) ও আরএভি-৪ মডেলের একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫-৬৪০১) জব্দ করা হয়।
সোমবার সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, রাজের বাসা থেকে আমরা গতরাতে দুটি গাড়ি জব্দ করেছি। গাড়ি দুটো কীভাবে কেনা, গাড়ি দুটির কার নামে কেনা, কোথায় থেকে, কবে কেনা সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি। এই গাড়ি কেনার অর্থ কীভাবে পেয়েছেন সেটাও আমরা খতিয়ে দেখবো।
পরীমনির বাসায় মদের সাপ্লায়ার ছিলেন রাজ, এছাড়া কথিত মডেলদের দিয়ে বিভিন্ন পার্টি এবং ইনডোর প্রোগ্রামের আড়ালে বিশিষ্টজন-ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ব্লাকমেইল ও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে তা আপাতত প্রকাশ করা হচ্ছে না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: