সামান্য দর্জি দোকানি থেকে বড়নেতা বনে যাওয়া মনির খান ওরফে দর্জি মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ।
বুধবার (৪ আগস্ট) চিফ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম।
বিকেলে সিএমএম আদালতের বিচারক ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালতে রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে শুনানি হবে।
ইসমাঈল হোসেন নামে ওই এলাকার এক ব্যক্তি দর্জি মনিরের নামে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৮৫ ধারাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৩/২৪/২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ অনেক মন্ত্রী-এমপির সঙ্গে নিজের ছবি কম্পিউটার সফটওয়্যার মাধ্যমে এডিট করে বসাতেন মনির। এভাবে নিজেকে ‘বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’ নামে ভূঁইফোড় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির পরিচয় দিতেন। সেই পরিচয়ে নিজেকে বড়নেতা সাজিয়ে নানাভাবে করতেন চাঁদাবাজি। তিনি সামান্য দর্জি দোকানি থেকে বড়নেতা বনে যাওয়া মনির খান ওরফে দর্জি মনির।
মনির এবং তার সহযোগীরা ঢাকা মহানগরীতে এবং বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কমিটি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেন। তিনি তার ভূঁইফোড় সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় এবং রাজনৈতিক নেতাদের নাম করে অর্থ আদায়, বিভিন্ন চাকরি দেওয়া এবং পদায়নের জন্য লোকজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: