পায়রা সেতুর নির্মাণ কাজ ৯৯ শতাংশ সম্পন্ন

সময় ট্রিবিউন | ৪ আগষ্ট ২০২১, ০৩:৫৩

ফাইল ছবি

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলাধীন বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের লেবুখালীর পায়রা নদীর ওপর নির্মিত দক্ষিণের মানুষের স্বপ্নের ‘পায়রা সেতু সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে দিন-রাত কাজ করছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে সেতুর ৯৯ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ।

এদিকে শিগগিরই সেতু চালুর খবরে খুশি স্থানীয়রা। ১ হাজার ৪৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকায় নির্মিত প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চালু করতে ততúরতা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এ সেতুর নির্মাণকাজের সার্বিক অগ্রগতি পরিদর্শন করেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর।

এ সময় তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই যান চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এ সেতু খুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশের সর্ব দক্ষিণে কুয়াকাটা পর্যন্ত ফেরিবিহীন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে, যা বর্তমান সরকারের একটি নতুন মাইলফলক।

পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পায়রা সেতু প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হালিম, বরিশাল সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল, বরিশাল সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ, পটুয়াখালী সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান, বরিশাল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন প্রমুখ।

পায়রা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হালিম জানান, পায়রা সেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪৭০ মিটার এবং প্রস্থ ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার। এটি চার লেনবিশিষ্ট সেতু। এরই মধ্যে মূল সেতুর ৯৯ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নদীর উভয় প্রান্তে মোট ১ হাজার ২৬৮ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক, টোলপ্লাজা, প্রশাসনিক ভবন, ইলেকট্রিফিকেশনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজের ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ।

কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (কেএফএইডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ওএফআইডি) যৌথ অর্থায়নে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায় চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেড। কার্যাদেশে সেতু নির্মাণে ৩৩ মাস সময় বেঁধে দেয়া হলেও দুই দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। তার পরও নির্ধারিত সময়ের আগেই যান চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।এদিকে সেপ্টেম্বরের সেতু উদ্বোধনের খবরে উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। এ সেতু চালুর মধ্য দিয়ে লেবুখালী ফেরিঘাটে হয়রানি ও ভোগান্তির অবসান হবে আশা পরিবহন শ্রমিকসহ যাত্রীদের।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: