এমপি আলী আশরাফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

সময় ট্রিবিউন | ৩১ জুলাই ২০২১, ০৪:৫৮

ফাইল ছবি

প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ (৭৩) মারা গেছেন। শুক্রবার বিকেল ৩টা ৩০মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আলী আশরাফকে গত ৯ জুলাই স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১১ জুলাই তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় গত ২৩ জুলাই থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

অধ্যাপক আলী আশরাফের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অধ্যাপক আলী আশরাফের পেশদারিত্ব এবং অভিজ্ঞতা সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চায় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। সরকারি প্রতিশ্রুতি এবং সরকারি হিসাব কমিটিসহ বিভিন্ন সংসদীয় কমিটি এবং সংসদীয় কার্যক্রমে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, অধ্যাপক আলী আশরাফের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ানকে হারালো। তার মৃত্যু দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

রাষ্ট্রপতি আলী আশরাফের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলী আশরাফের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান ও জনমানুষের এই নেতার মৃত্যুতে প্রদত্ত এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার মৃত্যুতে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক এবং দেশপ্রেমিক জননেতাকে হারালাম।

প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ ছিলেন সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। এ নিয়ে পঞ্চমবার তিনি জাতীয় সংসদে কুমিল্লার ভোটারদের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন।

২০০১ সালে সাবেক স্পিকার হুময়ুর রশীদ মৃত্যুর পর বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ডেপুটি স্পিকার থেকে স্পিকারের দায়িত্বে পান। ওই সময় ডেপুটি স্পিকারের চেয়ারে বসেন আলী আশরাফ।

তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন এক সময়।

১৯৪৭ সালে কুমিল্লার চান্দিনার গল্লাই গ্রামে আলী আশরাফের জন্ম। এক সময় কলেজে অধ্যাপনা করা আলী আশরাফ ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ছিলেন।

শুক্রবার এশার নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে আলী আশরাফের জানাজা হবে। পরে নিজের এলাকা কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হবে তার মরদেহ।

এক পুত্র ও চার কন্যা সন্তান রেখে গেছেন অধ্যাপক আলী আশরাফ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: