নেপালের প্রেসিডেন্ট আসছেন সোমবার

সময় ট্রিবিউন | ২২ মার্চ ২০২১, ০২:৪২

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে যোগ দিতে সোমবার সকালে ঢাকায় আসছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি।

সোমবার সকাল ১০টায় নেপাল এয়ারের একটি ফ্লাইটে তার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা। সেখানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। পাশাপাশি তাকে গার্ড অব অনারও দেওয়া হবে।

নেপালের কোনো রাষ্ট্রপতির এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। সফরে বিদ্যা দেবীর সঙ্গে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন।

সফরের প্রথমদিন বিমানবন্দর থেকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট।

ওই দিনই হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন বিদ্যা ভান্ডারী। সেখানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও থাকবেন।

সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বৈঠক করবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট; দুই রাষ্ট্রপ্রধানের উপস্থিতিতে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।
পরে বঙ্গভবনে নৈশভোজে অংশ নেবেন  বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি। দরবার হলে ওই নৈশভোজের আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন নেপালের রাষ্ট্রপতি। সেখানে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি; জাদুঘর পরিদর্শনের কর্মসূচিও রয়েছে তার।

দুপুরের পর ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাসের অনুষ্ঠানে যোগ দেনে বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি। বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে তাঁর।

বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি নেপালের দ্বিতীয় এবং প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। রাজতন্ত্র থেকে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় রূপান্তরের পর দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন রাম বরণ যাদব।

২০১৫ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (ইউএমএল) ভাইস-চেয়ারপার্সন এবং দেশটির প্রতিরক্ষার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

তার আমন্ত্রণে ২০১৯ সালে নেপাল সফর করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে এরমই মধ্যে বাংলাদেশ সফর করেছেন।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও এই আয়োজনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: