নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম এর আইটি বিভাগের প্রধানসহ দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ (সিটিটিসি)।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- আরিফুল ইসলাম জাহেদ ওরফে আইমান ওরফে আরাহান ওরফে রেহান (৩০) ও বাকী বিল্লাহ ওরফে আবু সামির ওরফে জাফর ওরফে ফয়সাল (৩৪)।
সোমবার (৫ এপ্রিল, ২০২১) রাজধানীর পল্টন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে সিটিটিসির স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপ। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত জাহেদ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। সে ঢাকা উত্তরের দায়ী বিভাগের প্রধান মাসুল(দায়িত্বশীল)।
সে চট্টগ্রাম শহরে পড়াশুনা করা কালীন ২০০৮ সালে জামায়তুল মুসলিমিন নামক সংগঠনে যোগ দেন। পরবর্তীতে ঢাকায় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ-এ বিবিএ-তে ভর্তি হয়। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা কালে সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর জিয়ার সাথে তার পরিচয় হয় এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দায়ী বিভাগে যোগ দেন। ধানমন্ডি, বনানী ও গুলশান এলাকার বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অনেক ছাত্র তার মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামে যোগদান করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে সে আল-নসীহা নামক একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে সুকৌশলে উগ্রবাদী কথিত জিহাদী প্রচার প্রচারনা চালিয়ে আনসার আল ইসলামের সদস্য নিয়োগ করত। এছাড়াও সে সাদকাহ প্রদান ও উত্তোলনের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রমে অর্থায়ন করত।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত বাকী বিল্লাহ আনসার আল ইসলামের তথ্যপ্রযুক্তি (IT) ও নজরদারি প্রতিরোধ (Anti-Survelliance) বিভাগের প্রধান। সে বহিষ্কৃত মেজর জিয়ার মাধ্যমে ২০১৪ সালে এই সংগঠনে যোগদান করে মিডিয়া বিভাগে কাজ শুরু করেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে তার কাজের দক্ষতা ও বহিষ্কৃত মেজর জিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণে তাকে আনসার আল ইসলামের আইটি ও নজরদারি প্রতিরোধ বিভাগের প্রধান করা হয়। সে আনসার আল ইসলামের প্রধান মিডিয়া ফোরাম দাওয়ালিল্লাহ তৈরি করাসহ সংগঠনের সদস্যদের যোগাযোগের নিরাপত্তার জন্য পিজিপি এনক্রিপটেড যোগাযোগ মাধ্যম তৈরি করেন।
এছাড়াও সে সংগঠনের অধিক নিরাপত্তার জন্য টেইলস (Tails) নামে একটি অপারেটিং সিস্টেম কাস্টমাইজড করে দেন। নটেরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা বাকী বিল্লাহ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হলেও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার কারণে দ্বিতীয় বর্ষের বেশি এগুতে পারেনি। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রুজু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল,২০২১) তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: