লবণের সংকট হবে না কোরবানির ঈদে

সময় ট্রিবিউন | ১০ জুলাই ২০২১, ১৯:০৬

ফাইল ছবি

আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১৮ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে। এসব পশুর চামড়া সংরক্ষণে বাড়তি লবণের প্রয়োজন হবে সর্বোচ্চ ১ লাখ টন। এই চাহিদার চেয়ে দেশে এখন অনেক বেশি লবণ মজুদ রয়েছে। ফলে এবার ঈদে লবণের সংকট হবে না।

এমনটাই মনে করছেন সরকারের লবণ শিল্প তদারককারী সংস্থা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং উৎপাদনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, সংকট না হলে দামও বাড়বে না লবণের।

বর্তমানে যে লবণের মজুদ রয়েছে তা চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। অন্যদিকে লকডাউনেও লবণের সরবরাহ ও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে না। ফলে চিন্তা নেই

বিসিকের তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে লবণ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হয়েছে।

চাহিদা ও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন এবং বর্তমানের চাহিদার অধিক পরিমাণ লবণ মজুদ থাকায় ঈদুল আজহায় চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে লবণের কোনো সংকট হবে না।

বিসিক জানায়, গত মৌসুমে লবণ মাঠে ক্রুড লবণ উৎপাদন হয়েছে ১৬ লাখ ৫১ হাজার টন। এ ছাড়া নতুন লবণ আসার পূর্ব পর্যন্ত পুরনো লবণের মজুদ ছিল আরও তিন লাখ ৪৮ হাজার টন।

ফলে গত অর্থবছরে মোট লবণের পরিমাণ ছিল ১৯ লাখ ৯৯ হাজার টন। এর মধ্যে এখনো (৩০ জুন পর্যন্ত) লবণ মাঠ ও মিল পর্যায়ে লবণের মোট মজুদ ১১ লাখ ৪৫ হাজার টন। এর মধ্যে লবণ মাঠে নয় লাখ ৬০ হাজার টন এবং লবণ মিলে এক লাখ ৮৫ হাজার টন মজুদ রয়েছে।

লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল কবির বলেন, এখনো লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। করোনার সময় উৎপাদনে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। ফলে দেশে লবণের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। কোরবানির চামড়া প্রক্রিয়াকরণের জন্য এ বছর লবণ সংকটের কোনো শঙ্কা নেই।

চামড়া ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) মতে, বছরে ১ কোটি ৫ লাখ পশু জবাই হতে পারে।

কোরবানির সময় একটি চক্র লবণের দাম বাড়ানোর ষড়যন্ত্র করে। লবণের দাম বাড়লে চামড়ারও দাম বাড়ে। ফলে সাধারণ মানুষ চামড়ার দাম পায় না। এ বিষয়ে নজর দেয়ার আহ্বান জানায় সংগঠনটি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: