কঠোর বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরামর্শ

সময় ট্রিবিউন | ৫ জুলাই ২০২১, ০৬:২৬

লকডাউনে অপ্রয়োজনে বাইরে বের হতে মাইকে নিষেধ করছেন বিজিবির এক সদস্-ছবি: সংগৃহীত

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

রবিবার রাতে করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত সাতদিনের যে পরিসংখ্যান আমরা দেখছি তা অবশ্যই আতঙ্কজাগানিয়া। এমন অবস্থায় যদি সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া না যায় তবে তা আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপরে প্রভাব ফেলতে পারে।

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, আমরা শাটডাউন বলতে বুঝিয়েছিলাম সকল কিছু বন্ধ যাতে মানুষের মাঝে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে আসে। সরকার এরইমধ্যে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে। আমরা আশা করবো সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার অবশ্যই এটিকে বৃদ্ধি করবে। জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালত সহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করবো সরকার আরও এক সপ্তাহ এই বিধিনিষেধ বাড়াবে। দীর্ঘমেয়াদে আসলে দেশে কঠোরভাবে লকডাউন, বিধিনিষেধ বা শাটডাউন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। আর তাই আমাদের অন্তত ভাইরাসের সুপ্তিকাল অর্থাৎ ন্যুনতম ১৪ দিনের জন্য সব কিছু বিচ্ছিন্ন রেখে ফলাফল দেখতে হবে।

অধ্যাপক সহিদুল্লাহ বলেন, বিজ্ঞানসম্মতভাবেই আমরা পরামর্শ জানিয়েছি। আশা করছি অবশ্যই সরকার সেটি বিবেচনা করবে। যদি ভালোভাবে এই বিধিনিষেধ মানা যায় সেক্ষেত্রে হয়তবা পরবর্তীতে একটু শিথিলতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক পরা বিষয়ে সবাইকে সচেতন করা যেতে পারে। এর কোনো বিকল্প বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের কাছে নেই।

উল্লেখ্য, দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে ৭ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। রোববার ছিল কঠোর বিধিনিষেধের চতুর্থ দিন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: