সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলাধীন কয়ড়া ইউনিয়নের রতনদিয়ার দিয়ারপাড়া গ্রামে দেবর আকরাম হোসেনের পুরুষাঙ্গ ভাবী মমতা খাতুন কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (২৭ জুন) গভীর রাতে উপজেলার কয়ড়ার রতনদিয়া দায়ারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত আকরাম হোসেনকে (২০) বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত মমতা খাতুন ওই গ্রামের নবির হোসেনের স্ত্রী।
আহতের পিতা আব্দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, রোববার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোবাইলে সারানোর কথা বলে ছোট দেবর আকরাম হোসেনকে ঘরে ডেকে নিয়ে যান মমতা খাতুন। এ সময় কাচি দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কর্তন করে। রক্তক্ষরণে আহত দেবর আকরাম হোসেনের চিৎকারে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে উল্লাপাড়া ২০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার বেগতিক দেখে তাকে বগুড়া জিয়া মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ওই রাতেই তাকে বগুড়া জিয়া মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তবে কী কারণে পুরুষাঙ্গ কর্তন করা হলো, তার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। এ ঘটনায় উল্লাপাড়া মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আবদুল কাদের আরও বলেন, এর আগেও গত ২৭ মার্চ একই গ্রামের প্রতিবেশী হায়দার আলীর পুত্র নোমানের পুরুষাঙ্গ কর্তন করেছিল মমতা খাতুন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস বলেন, দেবরের পুরুষ লিঙ্গ কর্তনের কথা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভিকটিম হাসপাতালে ভর্তি থাকায় কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ থানায় দেয়নি কেউ। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওসি আরও বলেন, এর আগেও ওই নারী আরও একজন যুবকের পুরুষ কর্তন করেছিল বলে শুনেছি। ওই সময়েও বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: