হেফাজতে ইসলামকে স্বাধীনতা বিরোধী জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
সোমবার (২৮ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত দেশের বিভিন্নস্থানে তাণ্ডব চালিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সরকার পতন। স্বাধীনতা দিবস ওরা সহ্য করতে পারে না, ওদের বুকে ব্যথা লাগে। কথা নাই বার্তা নাই বায়তুল মোকাররমে জমা হয়ে তাণ্ডব চালায়। সেখানে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে পারেন না।
বায়তুল মোকাররমে এ ধরণের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা উচিত। তারা বায়তুল মোকাররমকে প্লাটফর্ম বানিয়েছেন। কোরান শরিফ পুড়িয়েছে, মানুষ পুড়িয়েছে। এই হেফাজতে ইসলাম এরা ছিল স্বাধীনতা বিরোধী নেজামে ইসলামি। মানুষ মেরে এরা ইসলামকে হেফাজত করবে কিভাবে। এটা জঙ্গি সংগঠন, এ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হোক। যেভাবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হয়েছে সেভাবে।
শেখ সেলিম বলেন, আমাদের প্রধান শত্রু সাম্প্রদায়িকতা। স্বাধীনাতর পর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা, সম্প্রাদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। জিয়াউর রহমান এসে এদের রাজনীতি করার অনুমতি দেন, সম্প্রদায়িক রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেছেন যার বাংলা করলে দাঁড়ায় বি মানে বাংলাদেশ, এন মানে না এবং পি মানে পাকিস্তান। অর্থাৎ বাংলাদেশ না পাকিস্তান। জিয়া জঙ্গি সন্ত্রাসীদের স্থান করে দিয়েছেন। উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি ও মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ করা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: