চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলার নিষ্পত্তি চায় এলাকাবাসী

অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি | ২৩ জুন ২০২১, ১০:৩৫

ছবিঃ সংগৃহীত

লক্ষীপুর সদরের চররমনী মোহন ইউনিয়নে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে আব্দুস শহীদ নামের এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় চেয়ারম্যান ইউসুফ ছৈয়ালকে জড়িয়ে হত্যা মামলা করায় নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড় উঠে অত্র এলাকায়।

জানা গেছে, চররমনী মোহন ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আব্দুল হক লাড়ির বসতঘরে চুরি করার সময় একই এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের মৃত হাসেম মোল্লার বড় ছেলে আব্দুস শহীদকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। পরে শহীদের আত্মীয়-স্বজনেরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আব্দুস শহীদ। এই নিয়ে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ও তার পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে, ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৭ জনকে অজ্ঞাত রেখে হত্যা মামলা দায়ের করেন শহীদের স্ত্রী কুলসুমা বেগম।

স্থানীয় আমীর হোসেন, মোহাম্মদ ইউসুফ, নোয়াব আলী, আলমগীর হোসেন, কাশেম মোল্লা, খাদিজা বেগম ও পারুল আক্তার সহ প্রায় শ'খানেক জনসাধারণ এই প্রতিবেদককে জানান, আব্দুস শহীদ এলাকার চিহ্নিত চোর। সে চুরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। স্থানীয় ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ ইয়াকুব আলী জানিয়েছেন -আব্দুস শহীদ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ায় তিনি ৫ বার লক্ষীপুর থানায় সোপর্দ করেন। প্রতিবারই শহীদ কারাভোগ শেষে আবারও চুরি পেশায় নামেন।

গ্রাম পুলিশ ইয়াকুব আরো জানান -আব্দুস শহীদ মুন্সী বাড়ির দেলোয়ারের বসতবাড়ি, সিদ্দিক প্রধানিয়ার বসতঘরসহ এলাকার দাদন, সিদ্দিক ও খোকন বেপারীসহ প্রায় ঘরেই চুরি করেছে। তার জ্বালায় অতিষ্ঠ ছিল এলাকাবাসী। তার স্ত্রী কুলসুমা বেগমও চোর। চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে ৪০ দিন জেল খেটে সম্প্রতি জামিনে আসে কুলসুম বেগম। যার মামলা নং ২২, জি/আর ৬৯/২১ তাং ১৪/০২/২০২১ইং

স্থানীয়রা আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে চেয়ারম্যানের বাড়ির দূরত্ব দুই কিলোমিটারের বেশী। চেয়ারম্যান থাকে লক্ষ্মীপুরে বাসা ভাড়া করে। চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গণপিটুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আব্দুস শহীদ। এতে চেয়ারম্যানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও এলাকাবাসী জানায়। চেয়ারম্যান ইউসুফ ছৈয়ালকে অহেতুক হয়রানির উদ্দেশ্যে তার পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে মামলা দিয়েছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। এলাকাবাসী এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি চায়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: