পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা

সময় ট্রিবিউন | ২০ জুন ২০২১, ০৪:০০

ছবি : ইন্টারনেট

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দান বাক্স থেকে এবার পাওয়া গেল দুই কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা যা আগের বারের চেয়ে কিছু কম।

আজ শনিবার সকাল ৯টায় সিন্দুক খোলার পর গণনা শেষে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এই হিসাব পাওয়া যায়। বিপুল পরিমাণ দানের এই নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এবার ৪ মাস ২৬ দিন পর শনিবার (১৯ জুন) খোলা হয়েছে। সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৮টি দান সিন্দুক খোলা হয়। এর পর এগুলো বস্তায় ভরে মসজিদের দোতলায় গণনার কাজ শুরু করা হয়।

টাকা গণনা কাজ তদারকি করছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা মাজিস্টে্রট (এডিএম) ফরিদা ইয়াসমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্টে্রট মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ, মো. ইব্রাহীম, মাহামুদুল হাসান ও মো. উবায়দুর রহমান সাহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা প্রমুখ। টাকা গণনার কাজে মসজিদের কর্মকর্তা কর্মচারি ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এ সময় সিন্দুক খোলা কমিটির সদস্যরা ছাড়াও প্রশাসনের কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা— কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন।

জনশ্রুতি আছে, আড়াইশ বছর আগে ঈশাখাঁর শাসনামলে খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মাঝখানে পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক ব্যক্তি মাদুর পেতে ভেসে এসে মসজিদের কাছে আশ্রয় নেন। পরে ওই পাগলের মৃত্যুর পর তার সমাধির পাশে মসজিদটি গড়ে উঠে। পাগলের নামানুসারে এটির নাম হয় পাগলা মসজিদ।কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ। আধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত মসজিদটি ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থাপনা হিসেবে পরিচিত। চমৎকার এর ইমারত আর নির্মাণশৈলী মন কাড়ে যে কারও। দৃষ্টিনন্দন এ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র মুসলমানদের কাছেই নয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের কাছেও পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: