২০২২ সালের ঢাকায় শুরু হবে পাতাল রেলের কাজ

সময় ট্রিবিউন | ১৮ জুন ২০২১, ০৪:৩০

ছবি : ইন্টারনেট

৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ। ২০২২ সালের মার্চে পাতাল রেল নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

এম এ এন ছিদ্দিক জানান, এই রেললাইনের দুটি অংশ থাকবে- পাতাল অংশ ও উড়াল পথ। ঢাকার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত হবে পাতাল অংশ, যার দৈর্ঘ্য হবে ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। আর কমলাপুর থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত উড়ালপথ নির্মাণ করা হবে। এর দৈর্ঘ্য হবে ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার।

তিনি জানান, প্রকল্পের জন্য ২৫টি ট্রেন কেনা হবে। প্রতিটি ট্রেনে ৮টি করে কোচ থাকবে। একেকটি ট্রেনে ৩ হাজার ৮৮ জন যাত্রী পরিবহন করা যাবে। পুরো রেলপথ দিয়ে প্রতিদিন ৮ লাখ যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। রেলপথ নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা।

এম এ এন ছিদ্দিক জানান, প্রকল্পের ডিপো নির্মাণ করা হবে সবার আগে। পর্যায়ক্রমে পাতাল রেলপথ, স্টেশনসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে এমআরটি-১ প্রকল্পের কাজ করা হবে। প্রথম প্যাকেজের আওতায় ডিপোর ভূমি উন্নয়ন ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ছয় মাসের মধ্যে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জে ডিপোর কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।

২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) পাতালরেল সংক্রান্ত ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের (এমআরটি) লাইন-১ ও লাইন-৫ প্রকল্প অনুমোদন দেয়। প্রকল্প দুটিতে বড় অংকের ঋণ সহায়তা দেবে জাপানের সংস্থা জাইকা। এর মধ্যে এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পটি হবে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর স্টেশন এবং নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের খরচ ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকার মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা এবং জাইকা থেকে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা ঋণ হিসাবে পাওয়া যাবে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: