আমাকে ডিবি পুলিশ ডাকেনি, আমি নিজে থেকেই এখানে এসেছি

সময় ট্রিবিউন | ১৬ জুন ২০২১, ০৪:০৯

ছবি : ইন্টারনেট

ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্তের জন্য কথা বলতে রাজধানীর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে পৌঁছান। সেখান থেকে সন্ধ্যার কিছু আগে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।

সেখান থেকে বের হয়ে চিত্রনায়িকা পরীমণি বলেন, আমাকে ডিবি পুলিশ ডাকেনি, আমি নিজে থেকেই এখানে এসেছি। আমাকে কাজে ফিরতে হবে। পুলিশ বন্ধুসুলভ আচরণ করেছে। হারুন স্যার অনেকটা ম্যাজিকের মতো সবকিছু করেছেন। এতোটা তাড়াতাড়ি ম্যাজিকের মতো পুলিশ আমাকে সহযোগিতা করবে সেটা আমি ভাবতে পারিনি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেখলাম অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস সঠিক বিচার পাবো।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিবি কার্যালয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, আপনার কিভাবে দেখছেন আমি জানি না। আমরা তো মিডিয়ার মানুষ নিজেরা গল্প বানাই। আমি বাসা থেকে বের হওয়ার সময় কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, আসলে আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। আমি নিজে নিজেই এসেছি।

তিনি বলেন, এখানে এসে আমি মেন্টালি রিফ্রেসড। আমি যে কাজে ফিরব এটা কিন্তু কেউই আমাকে বলেনি। আমার আশপাশে যারা ছিল তারা আমাকে শ্বান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমাকে যে কাজে ফিরতে হবে, আমার এই শক্তিটা তারা এতক্ষণে যুগিয়েছেন। অনেকক্ষণ ধরে আমার কাজ নিয়ে কথা বলছে, আমার নরমাল লাইফে আমি কিভাবে ফিরে যাব, আমি এতটা তাদের কাছ থেকে আশা করিনি। তারা এতটা বন্ধুসলভ, আসলে একটা ম্যাজিকের মতো হয়ে গেছে।

ডিবি উত্তর বিভাগের যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশীদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, হারুন স্যার ম্যাজিকের মতো কয়েক ঘণ্টার মধ্যে করে ফেলেছেন। ঘুমিয়ে মানুষ জাগে সকালে, কিন্তু সেই সুযোগটা আমি পাইনি। ঘুমানোর আমি টাইম পাইনি। তার আগে এত দ্রুত কাজ হয়ে গেছে। তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার বিশ্বস আমি সঠিক বিচারটা পাব।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুন (বুধবার) রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ পরীমণির। রোববার (১৩ জুন) রাতে প্রথমে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন এই অভিনেত্রী। পরে তার নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সামনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ ঘটনায় মামলাও দায়ের করেছেন তিনি।

এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে। নাসির ও পরীমণির বন্ধু অমিসহ ৫ জনকে ইতোমধ্যে মাদক মামলায় গ্রেফতারও করা হয়েছে। এ মামলায় আজ নাসির উদ্দিনসহ দুই জনের সাত দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেছেন আদালত।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: