৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সময় ট্রিবিউন | ১০ জুন ২০২১, ২১:৫০

ফাইল ছবি

দেশের ৫০ উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে একযোগে আধুনিক ও সুসজ্জিত এই মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এই প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের ৫৬০ মসজিদ নির্মাণ করার প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম দফার ৬০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রংপুর, সিলেট ও খুলনায় ভার্চুয়ালী সংযুক্ত ছিলেন এই প্রকল্পের অন্যতম পরিকল্পক সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। এই মসজিদগুলোতে ১৩টি বিশেষ সুবিধার মধ্যে মসজিদে হজ্জ যাত্রীদের প্রশিক্ষণসহ পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য ডিজিটাল নিবন্ধনের ব্যবস্থা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

প্রকল্প পরিচালক নজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সারাদেশের ৩০টি জেলার ৫০টি উপজেলা সদরে আমরা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। চলতি অর্থবছরে আরও ১০০টি মসজিদ নির্মাণ শেষ হবে।

তিনি বলেন, এ ক্যাটাগরিতে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে ৬৯টি, বি ক্যাটাগরিতে উপজেলা সদরে ৪৭৫টি ও সি ক্যাটাগরিতে উপকূলীয় এলাকায় ১৬টিসহ মোট ৫৬০ মডেল মসজিদ প্রকল্প চলমান।

নজিবুর রহমান জানান, এর মাধ্যমে বিশ্বের ইতিহাসে নজির স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একযোগে বিশ্বমানের এতগুলো অবকাঠামো স্থাপনের নজির আছে বলে আমার জানা নেই।

এসব মডেল মসজিদে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, প্রতিবন্ধি মুসল্লীদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, ইসলামিক গবেষণা ও দ্বীনি দাওয়া কার্যক্রম, পবিত্র কুরআন হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষায় ব্যবস্থা, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা, মরদেহ গোসল ও কফিন বহনের ব্যবস্থা, ইমামের প্রশিক্ষণ, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসের ব্যবস্থা রয়েছে।

এসব মসজিদ থেকে আরও যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে- ইসলামি নানা বিষয়সহ প্রতি বছর ১ লাখ ৬৮ হাজার শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা। ২ হাজার ২৪০ জন দেশি-বিদেশি অতিথির আবাসন ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে প্রকল্পের আওতায়। উপকূলীয় এলাকায় মসজিদগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নীচতলা ফাঁকা থাকবে। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন এ সকল মসজিদগুলো নির্মাণে জেলা সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্মানাধীন প্রতিটি মসজিদে একসাথে ১২০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে। উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মডেল মসজিদে একত্রে ৯০০ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে। এসব মসজিদে সারাদেশে মসজিদে প্রতিদিন ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারী একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবে।

লাইব্রেরি সুবিধার আওতায় প্রতিদিন ৩৪ হাজার পাঠক একসঙ্গে কোরআন ও ইসলামিক বই পড়তে পারবেন। ইসলামিক বিষয়ে গবেষণার সুযোগ থাকবে ৬ হাজার ৮শ জনের। ৫৬ হাজার মুসল্লি সবসময় দোয়া মোনাজাতসহ তাসবিহ পড়তে পারবেন।

যে ৫০টি উপজেলায় মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হবে সেগুলো হলো— ঢাকার সাভার, ফরিদপুরে মধুখালী, সালথায়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও কুলিয়ারচর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, রাজবাড়ী সদর, শরীয়তপুর সদর ও গোসাইরহাট, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, শেরপুর ও কাহালু, নওগাঁর সাপাহার ও পোরশা, সিরাজগঞ্জ জেলা সদর ও উপজেলা সদর, পাবনার চাটমোহর, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও পবা, দিনাজপুরের খানসামা ও বিরল, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ ও উপজেলা সদর, রংপুর জেলা সদর, মিঠাপুকুর, উপজেলা সদর, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর, নোয়াখালীর সুবর্ণচর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও তারাকান্দা, চট্টগ্রাম জেলা সদর, লোহাগড়া, মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, জামালপুরের ইসলামপুর ও উপজেলা সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও বিজয়নগরে, ভোলা সদর, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, কুমিল্লার দাউদকান্দি, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, কুষ্টিয়া সদর, খুলনার জেলা সদর, চাঁদপুরের কচুয়া, ঝালকাঠির রাজাপুর এবং চুয়াডাঙ্গা সদর।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: