নির্বাচনে ইউপি সদস্য প্রার্থীকে কুপিয়ে হত্যা

সময় ট্রিবিউন | ১০ জুন ২০২১, ২০:২৪

রবীন্দ্র চন্দ্র দাশ-ফাইল ছবি

নোয়াখালীতে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে রবীন্দ্র চন্দ্র দাশ (৪৫) নামের এক প্রার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চর ঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে প্রার্থী ছিলেন।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চর ঈশ্বর ইউনিয়নের নন্দ রোডে আজাদ চেয়ারম্যানের পুরোনো বাড়ির দরজায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

রবীন্দ্র চন্দ্র দাশ হাতিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আল আমিন বলেন, রাত দুইটার দিকে তিনি ও ইউপি সদস্য রবীন্দ্র চন্দ্র দাশ একটি মোটরসাইকেলে করে চর ঈশ্বর ইউনিয়নের বাংলাবাজার থেকে উপজেলা সদরের ওছখালীর দিকে যাচ্ছিলেন। পেছনে তাঁদের আরও দুটি মোটরসাইকেলে চারজন ছিলেন। তাঁদের মোটরসাইকেলটি নন্দরোডে চর ঈশ্বর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদের পুরোনো বাড়ির সামনে এলে একদল সন্ত্রাসী তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

আল আমিনের দাবি, মোটরসাইকেলের আলোতে তিনি আজাদ চেয়ারম্যানের ছেলে মো. অমি, ভাতিজা মো. সোহেল, রহিম ডাকাত ও নাজিম ডাকাতকে চিনতে পারেন। তাঁদের দেখে আল আমিন পেছনের দিকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। সন্ত্রাসীরা এ সময় রবীন্দ্রকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। তিনি দৌড়াতে দৌড়াতে তাঁর চিৎকার শুনতে পান। একই সময় তাঁদের পেছনে থাকা মোটরসাইকেল দুটির লোকজন গুলির শব্দ শুনে পালিয়ে যান।

চর ঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম বলেন, তিনি গতকাল থেকে ঢাকায় অবস্থান করছেন। আজ ভোরে এলাকা থেকে খবর পেয়েছেন যে তাঁর পরিষদের সদস্য রবীন্দ্র চন্দ্র দাশকে সন্ত্রাসীরা তাঁর পুরোনো বাড়ির দরজায় হত্যা করে ফেলে গেছেন। এ ঘটনায় তাঁর কোনো লোক জড়িত নয় দাবি করে তিনি বলেন, ‘২১ জুনের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।’ তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পর রাতেই তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রবীন্দ্র চন্দ্র দাশের লাশ উদ্ধার করেন। উদ্ধারকালে লাশের ডান হাতের কনুইয়ের নিচের অংশ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ডান পায়ের গোড়ালির ওপরের অংশও কাটা। ঘটনার পর রাতে আজাদ চেয়ারম্যানের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে সেখান থেকে কাউকে আটক করা যায়নি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: