বগুড়ায় ছাগলকাণ্ড: সেই ইউএনও বদলি

সময় ট্রিবিউন | ১০ জুন ২০২১, ০১:৫৮

আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্মাণাধীন পার্কে স্থানীয় বাসিন্দা সাহারা বেগমের একটি ছাগল ফুলগাছ খেয়ে ফেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়-ছবি: সংগৃহীত

ছাগলে ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে এক ছাগল মালিককে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কর্তৃক ২ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেয়ার ঘটনায় সেই ইউএনও’কে বদলি করা হয়েছে।

বদলি হওয়া সেই ইউএনও’র নাম সীমা শারমিন। বগুড়ার আদমদীঘিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ছাগলে ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে গত ২২ মে স্থানীয় এক ছাগল মালিককে ২ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছিলেন তিনি। সমালোচনার মুখে উপজেলা চেয়ারম্যান জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মালিককে তার ছাগল ফিরিয়ে দেয়।

এরপরেই বিভিন্ন মহলে সমালোচনার পর সেই ইউএনও সীমা শারমিনকে স্থানীয় সরকার বিভাগে বদল করা হলো। বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক।

জেলা প্রশাসক জানান, আদমদীঘির ইউএনও সীমা শারমিনকে স্থানীয় সরকার বিভাগে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বদলির আদেশ এসেছে। এটি নিয়মিত বদলি বলেও জানান তিনি।

উল্লেক্ষ্য, আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্মাণাধীন পার্কে স্থানীয় বাসিন্দা সাহারা বেগমের একটি ছাগল কয়েকদফা ফুলগাছ নষ্ট করে। ১৭ মে আবারো ছাগলটি ফুলগাছগুলো নষ্ট করলে নিরাপত্তা প্রহরীরা ছাগলটি আটক করে। ২২ মে ছাগলটির মালিক সাহারা বেগমকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। তবে সাহারা বেগম অর্থদণ্ডের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ছাগলটি স্থানীয় একজনের জিম্মায় রাখে ইউএনও।

১০ দিন পর উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু নিজে অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধ করে সাহারা বেগমের ছাগল ফিরিয়ে দেন। ছাগল ফিরিয়ে দেয়ার ১২ দিন পর বদলির আদেশ পেলেন ইউএনও সীমা শারমিন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: