রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ৩৯ জনের মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। বাকি ছয় জনের মরদেহ এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের ঢাকা জেলা প্রশাসনের অস্থায়ী তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম. হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ জনে। এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্ত হয়নি ছয় জনের মরদেহ।
হস্তান্তর করা মরদেহের মধ্যে ১১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন নাজিয়া (৩৫), আরহান মোস্তফা (৮), সংকল্প পোদ্দার (১২), মিমু (২০), জান্নাতিন (২৩), সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা (১৭), রিয়া (২৩), স্বপ্না আক্তার (৩৭), পম্পি সাহা (৪৬), মেহেরা কবির দোলা (২৫), মাইশা কবির মাহী (২০)।
তিনি বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ২১ জন। আর সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত ২৯ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এতে অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল রাতে বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।
তিনতলায় ছিল কাপড়ের দোকান। বাকি সব ছিল রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টগুলোতে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যে কারণে আগুনের তীব্রতা ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: