করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় চলাচল ও মানুষের কার্যক্রমে চলমান বিধিনিষেধ আজ রবিবার (৩০ মে) শেষ হবে। তবে সূত্র বলছে, আরও এক সপ্তাহ বিধিনিষেধ বাড়ানো হতে পারে। প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে আজই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
করোনা রোধে চলমান বিধিনিষেধে দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃজেলাসহ সকল গণপরিবহন চলেছে। এছাড়া হোটেল, রেস্তোরা ও খাবারের দোকানগুলোয় আসনসংখ্যা অর্ধেক খালি রেখে গ্রাহককে সেবা প্রদান করা যাচ্ছে। এতে গ্রাহকরা হোটেলে বসে ধারণক্ষমতার অর্ধেক আসনে বসে খাবার খেতে পারছেন।
আগের বিধিনিষেধে নিজ জেলার ভেতরে গণপরিবহন চলতে পারতো। তবে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় প্রবেশ করতে পারত না গণপরিবহন। যাত্রীবাহী নৌযান ও ট্রেন বন্ধ ছিল আগের মতো। তবে ঈদের আগে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে দোকান ও শপিং মল খুলে দেয়া হয়। ব্যাংকও খোলা আছে এখন। এছাড়া জরুরি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত অফিসগুলোও খোলা থাকছে।
করোনা নিয়ন্ত্রণ রোধে চলতি বছরের ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। পরে আরও দুদিন বাড়ানো হয় সেই বিধিনিষেধ। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসার পর পরবর্তী দফায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে শুরু হয় ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। এরপর কয়েক দফায় তা বাড়িয়ে করা হয় রোববার (৩০ মে) মধ্যরাত পর্যন্ত।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: