বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই : র‍্যাব ডিজি

সময় ট্রিবিউন | ৩১ জানুয়ারী ২০২৪, ১৫:২৮

বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই : র‍্যাব ডিজি

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার টিমের মাধ্যমে এসব তথ্য সংগ্রহ করেছি। আর এ ব্যাপারে আমরা বেশি সজাগ রয়েছি।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় র‌্যাবের কন্ট্রোল রুমে নিরাপত্তা পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা নিয়ে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসল্লিদের আগমন ঘটে। এ বছরও দুই ধাপে তিন দিন করে মোট ৬ দিন ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের ইজতেমা ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় ধাপ ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন করার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে র‌্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসন সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ইজতেমা এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহে নিয়মিত টহল জোরদার ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে র‌্যাব-১-সহ অন্যান্য পাঁচটি ব্যাটালিয়ন দায়িত্বরত থাকবে। ইজতেমা এলাকায় নিরাপত্তা সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া সদর দপ্তর থেকেও মনিটরিং করা হচ্ছে। আর যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাবের স্পেশাল টিম বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং পর্যাপ্ত স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তত রাখা হয়েছে।

এম খুরশীদ হোসেন বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমগ্র ইজতেমা ময়দান ঘিরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে দুই ধাপে আয়োজিত ইজতেমায় কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইজতেমা এলাকার আশপাশে উচ্ছৃঙ্খলতা, মাদকাসক্ত, ছিনতাই, পকেটমার ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য কমাতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি মেহমানদের নিয়ে গত বছর যে হেনস্থার ঘটনা ঘটেছিল, এবার এ বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। প্রথম পক্ষ দ্বিতীয় পক্ষকে ইজতেমা ময়দান বুঝিয়ে দেওয়ার সময় যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কিছু নষ্ট করে (অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন), তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: