সভা-সমাবেশ বন্ধে ইসির নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সময় ট্রিবিউন | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:০৮

সভা-সমাবেশ বন্ধে ইসির নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকে অন্য সবধরনের সভা-সমাবেশ বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে নির্বাচন কমিশন যে চিঠি দিয়েছে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সঠিক, সুন্দর ও নিরপেক্ষভাবে একটি নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশনা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিরাপত্তা বাহিনী সেগুলো করবে বলেও জানান মন্ত্রী।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা গণতান্ত্রিক দেশের জন্য যথার্থ কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা তো অতি সাধারণ বিষয়। একটা বিশেষ সময়, একটা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি দল যার যার প্রার্থী নিয়ে তাদের প্রচার-প্রচারণা করবে, সেই সময় এই দল সেই দল মুখোমুখি হতেই পারে যাতায়াতের পথে। সেখানে যদি আবার আরেকটা নতুন দল নির্বাচন ছাড়া অন্য কথা বলে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যেটা বলেছে ব্যাঘাত হতেই পারে।’

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারা যখন একটি নির্দেশনা দিয়েছেন, তারা তো সংবিধান দেখেই দিয়েছেন। এখানে সংবিধান লঙ্ঘন হওয়ার কিছু নেই, এখানে তো নির্বাচন কীভাবে হবে সেটা তিনি জানেন।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু হচ্ছে আগামী ১৮ ডিসেম্বর সোমবার। ওইদিন থেকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার বাইরে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন যাতে অন্য কোনো সভা-সমাবেশ করতে না পারে সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ধার্য করা রয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ব্যতীত নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোটদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে এরূপ কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখা বাঞ্চনীয়।

এ অবস্থায়, আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ব্যতীত অন্য কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।

এক দফার দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তফসিল বাতিলসহ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে এসব দল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোটাররা যেন আতঙ্কিত না হন এবং নির্বাচনে যেন কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয়, সেজন্য নির্বাচনবিরোধী রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বন্ধের উদ্যোগ নেয় কমিশন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: