আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সারাদেশের মানুষ গণজাগরণের ঢেউ তুলেছে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে জনগণের আগ্রহ প্রবল। মানুষ নির্বাচন নিয়ে কতটা স্বতঃস্ফূর্ত এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথম ভোটার হওয়া তরুণ শ্রেণি আমাদের প্রধান টার্গেট।
ট্রেনে ও বাসে আগুন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন বাংলাদেশে বিরোধী দলের নির্বাচনের বাইরে যে রাজনীতি সেটা বিরোধী রাজনীতি নয়, সেটা গঠনমুলক সমালোচনা নয়- এটা স্রেফ নাশকতা। নাশকতার এই কালো হাত ভেঙে দিতে হবে। রাতে স্টেশনে থাকা ট্রেনে আগুন দেয়া হচ্ছে। চোরাগোপ্তা হামলা- এই রাজনীতি প্রতিহত ও প্রতিরোধ করতে হবে।
নির্বাচনকালীন সরকারে টেকনোক্রাট মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বিষয়ে তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর এসব পদ থাকে না, এটাই নিয়ম।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লগের কর্মীদের তিনটি কাজ করতে হবে।
প্রথমত, রাজনীতির নামে বিএনপির গাড়ি পোড়ানোর বিষয়টি প্রচার করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ইসরাইলের হামলার বিষয়ে বিএনপির নীরবতা তুলে ধরতে হবে।
তৃতীয়ত, উন্নয়নের এবং স্মার্ট বাংলাদেশের স্বার্থে নৌকার বিকল্প নেই- এই বিষয়টি জনমানুষের সামনে আনতে হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন উপকমিটির আহ্বায়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
এ সময় উপ কমিটির সদস্য সচিব ড. আবদুস সোবহান গোলাপ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: