দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘নির্বাচন পরিচালনা কমিটি’ গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাকে চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সদস্য সচিব করে আরও ১৫টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনার কো-চেয়ারম্যান করা হয়েছে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহকে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া ১৫টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইশতেহার উপ-কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাককে। সদস্য সচিব তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, নির্বাচন সম্পর্কিত আইন সহায়তা বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসূফ হোসেন হুমায়ুন এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরুকে। নির্বাচন কমিশন সমন্বয় বিষয়ক উপ-কমিটির সভাপতি করা হয়েছে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে.কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খানকে আর সদস্য সচিব করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সদস্য তারানা হালিমকে।
এছাড়া দপ্তর বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ আর সদস্য সচিব দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সমন্বয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অ্যাম্বাসেডর মো. জিয়া উদ্দিন এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খানকে। লিয়াজোঁ উপ-কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. রশিদুল আলমকে আর সদস্য সচিব করা হয়েছে সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হককে।
পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ উপ-কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীকে আর সদস্য সচিব করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সদস্য সানজিদা খানমকে। প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবু নাসের চৌধুরীকে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপকে।
মিডিয়া বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরকে, আর সদস্য সচিব করা হয়েছে সাংসদ মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে।
পেশাজীবী সমন্বয় উপ-কমিটির আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রী অর্থ উপদেষ্টা মশিউর রহমান আর সদস্য সচিব স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা। আইটি বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. হোসেন মনসুর আর সদস্য সচিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, বিদেশি মিশন/সংস্থা বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক অ্যাম্বাসেডর মো. জমির আর সদস্য সচিব শাম্মী আহমেদ।
সাংস্কৃতিক সামাজিক ও ক্রীড়া উপ-কমিটির আহ্বায়ক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু আর সদস্য সচিব সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কৃমার উকিল। অর্থ বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, সদস্য সচিব শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান। ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার গোলাম মাওলা নকশবন্দী আর সদস্য সচিব ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।
গত ৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় দলীয় প্রধানকে। আর দলের সাধারণ সম্পাদককে সদস্য সচিব করা হলেও কো-চেয়ারম্যানের পদটি সেদিন পূরণ করা হয়নি।
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। তার তিন সপ্তাহ পর হবে ভোটগ্রহণ।
নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক শিবিরে মতানৈক্যের মধ্যেই বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: