ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে পুলিশ বাদি হয়ে পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৩৯ জনের নামে মামলা করেছে। এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ১৭ জন।
গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বোয়ালমারী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মামুন অর রশিদ ১৯ মে রাত সাড়ে ১১টায় এ মামলা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গ্রাম্য আধিপত্যকে কেন্দ্র করে গত ১৯ মে সকাল সাড়ে ৮টায় ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ময়েনদিয়া-জয়পাশাগামী পাকা রাস্তার উপর রোহান স্টোর নামক মুদি দোকানের সামনে স্থানীয় দুই গ্রুপের ১০০/১২০ জন লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দেন উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আলম মিনা মুকুল, অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দেন একই ইউনিয়নের আ'লীগের মানব উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক মান্নান মাতুব্বর।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে সংঘর্ষে সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় বেআইনি জনতাবদ্ধে সরকারি কাজে বাধা প্রদান পূর্বক স্বেচ্ছায় আঘাত করিয়া সাধারণ ও গুরুতর জখম করতঃ অবৈধ বল প্রয়োগ করিয়া ক্ষতিসাধন করার অপরাধে বোয়ালমারী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মামুন অর রশিদ বাদি হয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় বোয়ালমারী থানায় ১৪৩/১৮৬/৩৩২/ ৩৩৩/৩৫৩/৪২৭/৩৪ পেনাল কোড ধারায় ৩৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামীরা হলেন উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আলম মিনা মুকুল, ইউনিয়ন আ'লীগের মানব উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক মান্নান মাতুব্বর, ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মো. সোহেল শেখ, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মো. মাসুদ শেখ, ইদ্রিস শেখ প্রমুখ। পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: