হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি

সময় ট্রিবিউন | ৩১ মার্চ ২০২১, ২৩:২৯

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ-ফাইল ছবি

হেফাজতে ইসলামের ঊর্ধ্বতন নেতারা হরতালে নাশকতা ও হামলার মামলায় জড়িত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।

বুধবার ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

মামলায় হেফাজতের ঊর্ধ্বতন নেতাদের নাম কেন আসেনি, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইজিপি বলেন, ‘নাম না থাকলে যে তদন্তে তাঁদের নাম আসবে না, এমন কোনো কথা নেই। আমরা কোনো কিছুকে প্রভাবিত করতে চাই না। আমাদের দেশে একটি কাজ করলে দশ রকমের সমালোচনা শুরু হয়। আমরা মনে করি, যারা হামলা করেছে, তাদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদি কেউ নির্দেশদাতা থাকে, ডেফিনেটলি তারাও আসবে। কাউকে বাদ দিচ্ছি, এমন কোনো কথা বলছি না। আমরা বলছি, যারা অনস্পট ছিল, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্তের সময় যাঁরা নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরাও আসবেন আমরা মনে করি। তাঁরা স্বাধীনতাকে কলুষিত করার চেষ্টা করেছেন।’

আইজিপি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপনের দিন হেফাজত সারা দেশে তাণ্ডব চালায়। মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে হাটহাজারী থানায় হামলা চালিয়েছে। এর আগেও এ থানায় তারা হামলা চালিয়েছে। ডাকবাংলোতে আক্রমণ করেছে। ভূমি অফিসে আক্রমণ করেছে। ভূমি অফিসের সব কাগজপত্র একত্র করে জ্বালিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনা হয়তো এখানেই শেষ হতো। কিন্তু এই ভূমি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়ার ফলে ওই অঞ্চলের মানুষ বছরের পর বছর কষ্ট পাবেন। এমনি বাংলাদেশের মানুষ জমিসংক্রান্ত একটি বিরাট সমস্যা। আমাদের ক্রাইমের একটি উৎস এই ভূমি সমস্যা।’

আইজিপি বলেন, ‘গত ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দিন হেফাজত সারা দেশে তাণ্ডব চালায়। প্রথমে বায়তুল মোকাররম, পরবর্তীতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে। আমাদের কোমলমতি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা হয়েছে। হাটহাজারী থানায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা আক্রমণ করেছে। এর আগেও এই থানায় তারা আক্রমণ চালিয়েছে। ভূমি অফিসে আক্রমণ করেছে। ডাকবাংলোতে আক্রমণ করেছে। ভূমি অফিসের সব কাগজপত্র একত্রিত করে জ্বালিয়ে দিয়েছে। এতে ওই অঞ্চলের মানুষ বছরের পর বছর কষ্ট পাবে।’

আইজিপি বলেন, ‘হাটহাজারীতে আমাদের একজন শিক্ষানবিশ এএসপিকে অপহরণ করে তারা নিয়ে যায়। তাকে বেধম মারধর করা হয়। একজন ডিএসবি সদস্যকে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের হত্যার জন্য মারধর করা হয়।’

হামলার উদ্দেশ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান পণ্ড করা।’

 

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: