করোনা মহামারীর প্রকট রোধে সরকার ২৩ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষনা করেছে। প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত করা হয়েছে গণপরিবহনসহ গণজমায়েত হয় এমন সকল কিছু।
করোনার প্রকোপ রোধে সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা রেস্টুরেন্টগুলো সরকারের নির্দেশনা না মেনেই চালিয়ে যাচ্ছে রেস্টুরেন্ট।
নির্দেশনা অমান্য করে ঈদের দিন থেকে খোলা হয়েছে এ সকল রেস্টুরেন্ট। এমনিতে ঈদের কারণে রাস্তায় যানজট বেশি। তার ওপরেই রেস্টুরেন্টগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। যার কারণে কেরানীগঞ্জের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে রুহিতপুর বাজার পর্যন্ত জ্যাম লেগে আছে সকাল থেকে মধ্য রাত অব্দি।
হাজারো মানুষের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই পড়েনি মাস্ক। কারো মধ্যে কোন রকম স্বাস্থ্য সচেতনতা দেখা যায়নি। এছাড়াও এ সকল রেস্টুরেন্টে নেই কোনো রকম বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সিস্টেম। রাস্তার দু'পাশে ঢেলে দেওয়া হচ্ছে নোংরা পচা খাবারের অংশ।
এসবের কারণে এই রাস্তাটি ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। একদিকে যেমন জ্যাম অন্যদিকে দুর্গন্ধ। জ্যামে বসে থেকে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের কোন হস্তক্ষেপ চোখে পড়েনি। এ নিয়ে সাধারন জনগন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরছেন।
লকডাউনের মধ্যে রেস্টুরেন্ট খোলা রাখার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ বলেন, বিষয়টা সম্পর্কে তিনি অবগত নন, সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষিত হলে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: