শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে উপচে পড়া ভিড়

সময় ট্রিবিউন | ১৬ মে ২০২১, ২১:৫৯

করোনা ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে ঈদ শেষে রোববার (১৬ মে) সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষ-ছবি: সংগৃহীত

মহামারি করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে অফিসমুখি মানুষের ঢল নেমেছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের শিমুলিয়ায়।  করোনা ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে ঈদ শেষে রোববার (১৬ মে) সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। অফিস খুলে যাওয়ায় সকাল থেকেই ফেরিতে করে নদী পার হয়ে শ্রমজীবী হাজার হাজার মানুষ শিমুলিয়ায় এসে পৌঁছেছেন।

এদিকে ফেরিতে পৌঁছালেও শিমুলিয়ায় পৌঁছে পড়েছেন আরেক বিড়ম্বনায়। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে কর্মস্থলে ছুটছেন তারা। করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির এজিএম শফিকুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও জরুরি পরিসেবার যানবাহন পারাপারের জন্য ফেরি সচল রাখা হয়েছে। কিন্তু ফেরি সচল থাকায় জরুরি পরিষেবার যানবাহনের সঙ্গে কর্মস্থলে ফেরা মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে নদী পার হচ্ছেন। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি জানান, ১৮টি ফেরি দিয়ে পারাপার করেও কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় চাপ না থাকলেও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। 

 

আজ রোববার সকাল থেকে মানুষের চাপে ফেরিতে ঠিকমতো গাড়ি পার করতে পারছি না। প্রতিটি ফেরিতেই মানুষের উপচেপড়া ভিড়। গাদাগাদি করে ফেরিতে নদী পার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ বলেও জানান তিনি।

 

ঢাকামুখী যাত্রীরা বলেন, জীবনের ঝুঁকি থাকলেও কর্মস্থলে যেতেই হবে, না যেতে পারলে থাকবে না চাকরি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: