ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, এপিবিএন, র্যাব, পুলিশের বিশেষায়িত অন্যান্য ইউনিট একযোগে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
সোমবার (২৬ জুন) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, এরই মধ্যে ঘরমুখো মানুষ বাস, লঞ্চ বা ট্রেনে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন, অনেকে রওয়ানা হচ্ছেন। তারা যাতে স্বস্তিতে ও নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট একযোগে কাজ করছে। প্রতিটি রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল ও নৌবন্দরসহ বিভিন্ন সড়কে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ কাজ করছে। সিনিয়র অফিসাররাও পর্যায়ক্রমে সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। শত শত সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। রেলের কামরা ও ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে মানুষের যাতায়াত অনেক সহজ হয়েছে। ঈদুল আযহায় মানুষকে নিরাপদে বাড়ি ফেরানো, পশুবাহী ট্রাক ও নৌকাসমূহকে নির্দিষ্ট হাটে পৌঁছানো ও মৌসুমি ফলের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছানো- পুলিশকে এ তিনটি চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে কাজ করতে হয়। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ বাহিনী যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
অজ্ঞানপার্টি ও মলমপার্টির কবল থেকে মুক্ত থাকতে রাস্তায় কারও কাছ থেকে কোনো দ্রব্য বা পানাহার না করার অনুরোধ করেছেন আইজিপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. দিদার আহম্মদ, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: