পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধ বিষয়ে সেরা প্রতিবেদনের পুরস্কার পেলো ১৩ সাংবাদিক

নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ জুন ২০২৩, ০৭:০৬

ছবি- সংগৃহীত

পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধ বিষয়ে গভীরতাধর্মী সেরা সংবাদ প্রতিবেদনের জন্য ১৩ জন সাংবাদিক পুরস্কার পেয়েছেন।

রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক আয়োজনে তাদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় গণমাধ্যম উন্নয়ন সংগঠন সমষ্টি এ পুরস্কারের আয়োজন করে।

মুদ্রণ সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন-এ তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। অতিথিরা বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র প্রদান করেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর মতো ভয়াবহ সমস্যা স্থায়িত্বশীল সমাধানের লক্ষ্যে গণমাধ্যমসহ সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করতে সরকার আন্তরিক। সাংবাদিকদের জন্য এ ধরনের জনস্বার্থ সংশিষ্ট বিষয়ে পুরস্কার প্রদান খুবই কাযকর একটি উদ্যোগ। এতে গভীরতাধর্মী প্রতিবেদন তৈরিতে সাংবাদিকরা আরো অনুপ্রাণিত হবেন এবং সরকারও কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারবে”।

পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন আফরিন আপ্পি (দ্য বিজনেস পোস্ট), জিনিয়া কবির সূচনা (চ্যানেল ২৪), পার্থ শঙ্কর সাহা (প্রথম আলো), মাসুদ রানা (জাগোনিউজ), সোহাগী আক্তার (সময় ট্রিবিউন), ঝর্ণা মনি (ভোরের কাগজ), কাউসার সোহেলী (মাছরাঙা টিভি), নীলিমা জাহান (ডেইলি স্টার), স্বপ্না চক্রবর্তী (জনকন্ঠ), জাহিদুর রহমান (সমকাল), সজীব আহমেদ (কালের কন্ঠ), আসিফ ইসলাম শাওন (দ্য বিজনেস পোস্ট) এবং আরেফীন তানজীব (চ্যানেল আই অনলাইন)।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “গণমাধ্যমগুলো তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারে। প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াগুলো পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধ বিষয়ক গভীরতাধর্মী সংবাদ নিয়মিতভাবে প্রকাশ করতে পারে। আবার সম্প্রচার মাধ্যমগুলো এ সংক্রান্ত ডকুমেন্টারি ও টিভিসি প্রচার করতে পারে। এতে একদিকে যেমন ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা বাড়বে, তেমনি সরকারের বিভিন্ন নীতি-নির্ধারনী মহলের নজরে আসবে।”



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: