আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল। কমিটির সুপারিশকে যৌক্তিক বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
রোববার (১৮ জুন) সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটা এখনো হয়নি। এটা তো জানেন, এটা কেবিনেটে সিদ্ধান্ত হতে হবে। কেবিনেটে উত্থাপিত হবে এবং আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। এটা একটা প্রস্তাব, আমরা মনে করি এটি যৌক্তিক প্রস্তাব। সুপারিশটি কেবিনেটে গেছে, সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত হবে।
যাত্রাবাড়ী এলাকায় প্রচুর যানজট, রাস্তাঘাট ভাঙা সেখানে আবার পশুর হাট বসছে। সেখানকার পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেবেন- এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা আগেই বলেছি, মহাসড়কে আমরা কোনো হাট বসতে দেবো না। মহাসড়কে যাতে হাট না আসে, মহাসড়কের আশপাশে যারা হাট করছেন তাদের দায়িত্ব থাকবে কোনোক্রমেই যাতে মহাসড়কে পশু প্রবেশ করতে না পারে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীও এ ব্যাপারে খেয়াল রাখবে।
'সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া পথে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা অন্য কেউ কোরবানির পশুবাহী যানবাহন থামাতে পারবে না। কোরবানির পশু ঠিকমতো যাতে শহরে ঢুকতে পারে এবং পরিবহন যাতে সুন্দর হয়, সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় ও কোরবানির পশুর হাটে ওয়াচটাওয়ার বসাবো। পশুর হাটগুলো সিসি ক্যামেরায় আবৃত থাকবে।'
পশু আমদানি নিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যাতে কোনো পশু না আসে। দু-তিন বছর ধরে আমরা সেটি ফলো করে আসছি। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী যেটা বলেছেন, সেটা (পশু আমদানি) তো আগে থেকে আমাদের চলছে, নতুন করে বলার কিছু নেই। আমাদের বর্ডার গার্ড সব সময় তৈরি আছে। নানা কায়দায় পশু চলে আসে, অনেক ফাঁক-ফোকর দিয়ে চলে আসে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: