ভূমিহীন পরিবার পেলে তাদের ঘরের ব্যবস্থা করে দেব: প্রধানমন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক: | ২২ মার্চ ২০২৩, ২২:০৩

সংগৃহীত ছবি

প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্যকোনো কারণে যদি ভূমিহীন পরিবার পাওয়া যায়, যেসব এলাকায় আমরা সবাইকে ঘর দিয়েছি সেখানে যদি আরও ভূমিহীন পরিবার থাকে, নিশ্চয়ই সেই তালিকাটা আপনারা (জনপ্রতিনিধি) করবেন। তাদেরও ঘরের ব্যবস্থা আমরা করে দেব। এমনটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২২ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের মধ্যে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা শুধু স্বাধীনতাই দেননি, এ দেশের মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য তিনি যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন, সেগুলো যদি বাস্তবায়ন করে যেতে পারতেন, তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরই উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠত। পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতা দখল করেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, শোষণ করেছে, নিজেদের ভাগ্য গড়েছে। আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের সংগঠন। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, এ দেশের মানুষের উন্নতি করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। এই দল মানুষের পাশে থাকে, তাদের জন্য কাজ করে। আমাদের একটাই লক্ষ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমরা চাই দেশের সবার ঘর-বাড়ি থাকবে।

দেশের দুর্যোগ দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগই জনগণের পাশে থাকে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ’৯১ সালে একটি ঘূর্ণিঝড় হয় দেশে। তখন বিএনপি ক্ষমতায়। সেই ঘূর্ণিঝড়ে সরকার কোনো আগাম ব্যবস্থা নেয়নি। ঘূর্ণিঝড়ে চট্টগ্রাম এবং দক্ষিণের উপকূলীয় অঞ্চল তছনছ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগই প্রথম ছুটে গিয়েছিলো দুর্গত মানুষের কাছে। ত্রাণ নিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়াই কিন্তু তখনকার সরকার...আমরা যখন সংসদে বিয়ষটি তুললাম..খালেদা জিয়া ঘুমাচ্ছিলেন এবং তিন বাহিনীর প্রধান গলফ খেলছিলেন। সারা দেশ তখন তছনছ। সে সময়ে রাস্তাঘাট বন্ধ ছিল কিন্তু আমরা মানুষের পাশে ছুটে গিয়েছিলাম। সেই সময়ে অনেক মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে থাকতো। কক্সবাজারের সেসব মানুষকে আমরা বহুতল ভবন করে পুনর্বাসন করেছি।

পরে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং বরিশাল জেলার বানারিপাড়া উপজেলার বানারিপাড়া পৌরসভার উত্তরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: