যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতির সুযোগ করে দেয় জিয়া: প্রধানমন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক | ২০ মার্চ ২০২৩, ০৪:০০

সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ দেশে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ এবং ৩৮ এর আংশিক সংশোধন করে মার্শাল অর্ডিন্যান্স দিয়ে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। তিনি বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধী, যাদের বিচার শুরু হয়েছিল, তাদেরও জিয়াউর রহমান মুক্তি দিয়েছিল। এরপর তাদের দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করায়। এমনকি সাত খুনের আসামিকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেয়।

আজ রোববার (১৯ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মই হয়েছিল এই বাঙালি জাতিকে একটি আত্মপরিচয়, একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা এবং একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য।

বিএনপির কোনো শেকড় নেই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে তৈরি। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ববোধ নেই। জনগণের প্রতি তাদের কোনো আস্থাও নেই। যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, একটা লুটপাতের রাজত্ব কায়েম করেছে।

জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় এসেই এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে শুরু করে। ইতিহাস শুধু বিকৃত করা না, সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আদর্শকে বিসর্জন দেয়। বাংলাদেশের মানুষ আবার সেই অন্ধকারে হারিয়ে যেতে বসে। '৭৫ থেকে '৯৬ সাল পর্যন্ত, আবার ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত; এই সময়টা যদি দেখেন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে শুধু ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। '৯৬ সালে যতটুকু আমরা অর্জন করে গিয়েছিলাম, ২০০১ সালের নির্বাচনের দিন থেকে বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচার, নির্যাতনের শিকার হয় আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে তারা আক্রমণ করে, হত্যা করে, চোখ তুলে নেয়, হাত কেটে দেয়, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: