দেশে চালু হলো জাতীয় মোবাইল ব্রাউজার 'তর্জনী'

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক | ৮ মার্চ ২০২৩, ০৫:০২

সংগৃহীত

বাংলাদেশের মানুষকে বাংলা ভাষায় সহজে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দিতে জাতীয় মোবাইল ব্রাউজার ‘তর্জনী’ চালু করেছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে ব্রাউজারটির উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, আইসিটি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) 'বাংলাদেশ সরকারের জন্য নিরাপদ ই-মেইল ও ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন' প্রকল্পের আওতায় তর্জনী ব্রাউজারটি তৈরি করা হয়েছে। ব্রাউজারটির বৈশিষ্ট্য হলো এতে বাংলা ভাষা রয়েছে এবং এর বাংলা অপটিমাইজেশন অন্যান্য ব্রাউজারের তুলনায় শক্তিশালী। ব্রাউজারটিতে ইংরেজি ভাষাও নির্বাচন করা যাবে।

এছাড়া, সহজে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ব্রাউজারটিতে রয়েছে তর্জনী সার্চ বার, ডার্ক মোড, ট্যাব, বিজ্ঞাপন বন্ধ, বুকমার্ক, ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা, ইনকগনিটোসহ বিভিন্ন সুবিধা। অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে স্টোর থেকে বিনা মূল্যে নামিয়ে ব্যবহার করা যাবে ব্রাউজারটি। ভবিষ্যতে ব্রাউজারটির ডেস্কটপ সংস্করণও চালু করা হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

উদ্বোধঙ্কালে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। আর তাই ৭ মার্চ উপলক্ষে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে চালু করা হলো জাতীয় মোবাইল ব্রাউজার তর্জনী।

তিনি বলেন, আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করছি। এই স্মার্ট বাংলাদেশের সুফল পেতে হলে আমাদের শুধু বিদেশি সেবার ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। আমাদের স্বাবলম্বী হতে হবে। আমরা এমন একটি স্মার্ট বাংলাদেশ ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চাই, যেটি হবে স্বাবলম্বী। সেই স্বাবলম্বী স্মার্ট বাংলাদেশের জন্যই চালু করা হয়েছে ব্রাউজারটি। ভবিষ্যতে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমও চালু করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন 'বাংলাদেশ সরকারের জন্য নিরাপদ ই-মেইল ও ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন' প্রকল্পের পরিচালক সাইফুল আলম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন, লাইভ টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন, লাইভ টেকনোলজিসের পরিচালক ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: