ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে ১৯৭১ সালের হানাদার বাহিনীদের হাতে নির্যাতিত বীরাঙ্গনাকে বাড়িতে এসে উপহার, খাবার সহ নগদ অর্থ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. কে.এম কামরুজ্জামান সেলিম ।
মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুরে উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের বলিদ্বারা নামক এলাকায় বীরাঙ্গনা টেপরি (৭০) বেওয়াকে উপহার সামগ্রী এবং নগদ অর্থ ২৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নুর কুতুবুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম প্রমুখ।
বীরঙ্গনা টেপরির কাছ থেকে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে বাড়ী থেকে হানাদার বাহিনীরা তাকে তুলে নিয়ে যুদ্ধকালীন সময় প্রায় নয় মাস তাদের ক্যাম্পে আটকে রেখে নির্যাতন করে। পরে যুদ্ধশেষে তাকে হানাদার বাহিনীরা তার বাড়িতে রেখে যায় এবং তার গর্ভে একটি সন্তান জন্ম নেয়। তার নাম রাখা হয় সুধীর। টেপরি আর কোনদিন বিয়ে করেননি। স্বাধীন দেশটিকে বুকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম বলেন, রাণীশংকৈলে ২০ জন বীরাঙ্গনা হিসাবে ভাতা পাচ্ছেন। তার মধ্যে পাঁচজন বীরাঙ্গনা মারা গেছেন।
জেলা প্রশাসক ড. কে.এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, যারা ১৯৭১ সালে জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছে এবং দেশের জন্য জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন তাদের মধ্যে এই বীরাঙ্গনা টেপরি একজন। আমি সেই শহীদ এবং জীবন উৎসর্গকারীদের শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি আরোও জানান, এর আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে টেপরিকে ঘর করে দেওয়া হয়েছে। এবং তার ছেলে সুধীরের জীবিকা নির্বাহের জন্য অটোরিকশা কিনে দেওয়া হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: