তিন দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন নোয়াখালী জেলায় কর্মরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দাবিগুলো হল- কার্যকর চাকুরিকালের ভিত্তিতে জেষ্ঠ্যতা পদোন্নতি, সিলেকশন গ্রেড, প্রযোজ্য টাইম স্কেল প্রদান, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের উত্তোলিত টাইম স্কেল সংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান, অর্থমন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পত্র বাতিল, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায় বাস্তবায়ন।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নোয়াখালী শাখার উদ্যোগে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এই স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়।
এরআগে জেলা শহর মাইজদীর আবদুল মালেক উকিল প্রদান সড়কে ৩দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ করে শিক্ষকরা।
বিক্ষোভ শেষে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ও নোয়াখালীর আহবায়ক মোহাম্মদ আলী আক্কাছের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম-আহবায়ক মো. আবুল হোসেন আজাদ, সদর উপজেলা সভাপতি আবদুল হালিম, বেগমগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মো. আলমগীর, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মো.নুর উদ্দিন, হাতিয়া উপজেলা সভাপতি আমির হোসেন, সূবর্ণচর উপজেলা সভাপতি মো. নুর আলম, সেনবাগ উপজেলা সভাপতি মো. নুরুল্যাহ প্রমূখ ।
বক্তারা বলেন, ‘শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, প্রাথমিক শিক্ষা এর মূল’ এই মহান বাণীর গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের দূর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যেও ১৯৭৩ সালে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩৬ হাজার ১৬৫টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদের চাকুরি জাতীয়করণ করেছিলেন। পরবর্তীতে বর্তমান সরকারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ওই জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকগন গ্রেজেট এবং পরিপত্র মূলে ৫০ শতাংশ কার্যকর চাকুরিকালের ভিত্তিতে জেষ্ঠ্যতা পদোন্নতি, সিলেকশন গ্রেড, প্রযোজ্য টাইম স্কেল প্রদান, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের উত্তোলিত টাইম স্কেল সংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান, ২০২০ সালের ১২ আগস্ট অর্থমন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পত্র বাতিল, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায় বাস্তবায়ন করা হয়নি। উল্লেখিত এই ৩ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
এমএএম/
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: