জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার শামসুল হক টুকু এমপি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এবং আগামী নির্বাচনে সুশৃখল থেকে গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে হবে। দেশ থেকে সন্ত্রাস, মাদক ও অপরাজনীতি দূর করতে হবে। অতীতের ন্যায় পাবনায় আর কখনোই সাম্প্রদায়িক রাজনীতির স্থান হবে না।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় সংসদের পাবনাবাসী ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
পাবনা শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠারেন ডেপুটি স্পীকার শামসুল হক টুকু পাবনার জনগন ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মহান স্থপতি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না। আর ৭৫ এ ঘাতক বাহিনী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে হত্যার সুযোগ পেলে এবং জাতির জনকের কন্যা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে না নিলে দেশ আজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেত না। কাজেই পাবনার জনগনের সাথে সাথে তাঁদেরকেও ধন্যবাদ জানাই। সদ্যই আমাদের নির্ভরতার প্রতীক সারাবিশ্বের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে ৩য় সেরা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর দূরদর্শী রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে মেনে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
শামসুল হক টুকু আরও বলেন, আমি পাবনার সন্তান, পুরো পাবনা জেলাই আমার গ্রাম। এই মাটিতে আমি খেলাধুলা করেছি, ছুটে বেরিয়েছি। এখানকার কৃতি সন্তান ও রাজনীতিবিদ ও মেহনতী মানুষদের কাছ থেকে দীক্ষা নিয়েছি। এই মাটির প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। এই মাটিকে ভালো কিছু উপহার দেয়া আমাদের সবার দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহীদগণ, জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লালের সভাপতিত্বে এবং পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, গোলাম ফারুক প্রিন্স এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পাবনা-৪ আসনের,সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি।
অনুষ্ঠানে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: