বছরে উৎপাদন হবে ১০ লক্ষ টন সার

ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ৮০.৩ শতাংশ সম্পন্ন: শিল্পমন্ত্রী

সিয়াম সরকার পলাশ (নরসিংদী) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২৩:৩২

সংগৃহীত

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সারকারখানার প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ৮০.৩ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। পুরো কাজ সম্পন্ন হলে এখান থেকে বছরে উৎপাদন হবে ১০ লক্ষ টন সার । তিনি আজ শনিবার দুপুরে নির্মাণাধীন সারকারখানাটি পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার কৃষকের স্বার্থে বরাবরই ভর্তুকি দিয়ে আসছে। দেশে ভবিষ্যতে সারের কোনো সংকট থাকবে না। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে এই সারকারখানাটি ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু করবে। তখন, বছরে ১০ লক্ষ টন সার উৎপাদন হবে , যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী সম্ভব হবে। বেশ দ্রুতগতির সাথেই এই কারখানার কাজ শেষ হচ্ছে।

সারকারখানা পরিদর্শনকালে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, নরসিংদী ২ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলিপ, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা,পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা আফসানা চৌধুরী ও সারকারখানা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রাজিউর রহমান মল্লিক।

ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মোঃ রাজিউর রহমান মল্লিক জানান, দেশে ইউরিয়া সারের উৎপাদন বাড়াতে নরসিংদীর পলাশে এশিয়ার মহাদেশের সর্ববৃহৎ এ সারকারখানাটি নির্মিত হচ্ছে। এটি বর্তমান সরকারের মেগা প্রকল্পের একটি ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রজেক্ট। যার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। কারখানাটি উৎপাদনে এলে এখান থেকে পাওয়া যাবে বছরে ১০ লক্ষ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার। আমদানি নির্ভরতা কমে ৫ ভাগের ১ ভাগে নেমে আসবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: