দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে কোটা দ্বিগুণ করা হয়েছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) কর্মকর্তারা পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বোয়েসলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আগামী বছরে ৬,০০০ কর্মী নিয়োগ করা হবে।
এর আগে, কোরিয়ান বাজারে বাংলাদেশের ৩ হাজার শ্রমিকের চাকরির কোটা ছিল। তারা ৪.৮ বছরের জন্য কর্মসংস্থান পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের শিল্পে নিয়োগ পেতো।
আগস্টে অবসরে যাওয়া বিল্লাল হোসেন জানান, তারা চলতি বছরের কোটা পূরণ করেছেন ও কোরিয়া থেকে অতিরিক্ত ২ হাজার কোটা পেয়েছেন।
অন্যদিকে কোরিয়া ছয় মাসের জন্য মৌসুমি কৃষি ও ওয়েল্ডিং শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
বোয়েসলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি মাসের মধ্যে নতুন ব্যবস্থার আওতায় কৃষি খাতে মোট ২০০ কর্মী কোরিয়ায় পাঠানো হবে। প্রত্যেক শ্রমিক মাসিক ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মজুরি পাবেন।
জানতে চাইলে বোয়েসল প্রধান বলেন, ওই বাজারে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের পর্যাপ্ত জনবল রয়েছে।
কোরিয়ান চাকরির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা ভাষা শেখানোর জন্যে সরকার ৪৩টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ভাষা প্রশিক্ষণ করেছে।
বাংলাদেশেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসরকারি ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।
বিল্লাল হোসেন বলেন, ফলে সরকার কোরিয়ান নিয়োগকারীদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
বাংলাদেশি শ্রমিকরা শিল্প কাজের জন্য মজুরি পান ১.৬ লাখ টাকা এবং পেশাদাররা ৩.৫ লাখ টাকা।
কোরিয়া বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য একটি উদীয়মান বাজার। কর্মকর্তাদের মতে, সরকার এভাবে সুযোগটি সঠিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।
বোয়েসল কোরিয়াগামী কর্মীদের জন্য দক্ষ বিকাশ ও আচরণগত প্রশিক্ষণের সময় এক সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে দুই সপ্তাহ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ের একটি প্রধান উৎস। কারণ এই দেশ থেকে বেশিরভাগ অভিবাসী ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠায়।
২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত কোরিয়ার বাজারে ইপিএস ভিত্তিতে ২৩ হাজারেরও বেশি কর্মী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: