নারায়ণগঞ্জে খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সারা দেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে ৫০ লাখ এবং ওএমএসের কর্মসূচির মাধমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর এক কোটি মানুষের মধ্যে চাল বিতরণ করা হবে। এ সুবিধার আওতায় দেড় কোটি পরিবারের ৬ কোটি সদস্য উপকৃত হবে। দেশে চালের কোনো সংকট নেই।
এ ব্যাপারে কেউ কারসাজি করলে সহ্য করা হবে না। সারা দেশে ১০ হাজার ৫৭০ জন ডিলারের মাধ্যমে ২ টন করে চাল বিক্রি করা হবে। ইতোমধ্যে বাজার দর নিয়ন্ত্রণের জন্য ৫ শতাংশ শুল্ক হার কমানো হয়েছে। চাল বিতরণের জন্য কোনো ডিলার যদি অবৈধ কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়গঞ্জ জিয়া হলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ওএমএস কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, প্রতিমাসে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব বাজারে ছাড়ছি। আমি মনে করি ওএমএস মাধ্যে ৩০ টাকা করে কেজি চাল এবং খাদ্যবন্ধব মাধ্যমে ১৫ টাকা কেজি করে চাল অনেকে সাচ্ছন্দে গ্রহণ করতে পারবে। টিসিবি কার্ড ধারি যারা তারাও এ আওয়াত চাল নিতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, করোনা মোকাবেলার পরপর ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের ফলে যে সমস্ত খাদ্য দ্রব্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় সে সব খাধ্যপণ্যে আমদানি মূল্য বিদেশে বৃদ্ধি পাওয়ায় জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় সারা বিশ্ব নানা ধরণের সমস্যায় পড়েছে। বাংলাদেশে সেই হাওয়া কিছুটা পড়েছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব জায়গায় ভর্তুকি দিয়ে সহনিও পর্যায় নিয়ে আনার চেষ্টা করছে। সেই সহয়তা করতে।
কারণ আমরা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করি দেশক্ষতিগ্রস্ত হবে জনগন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে তারা দেশকে মানুষকে ভালোবাসে আমি তা বিশ্বাস করতে পারি না। অনেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে দেওয়া যাবে না।
এসময় খাদ্য মন্ত্রী গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা শুধু বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে না যেয়ে মিল গেইটে যাবেন আড়ৎদারদের কাছে যাবেন তারা কোনো ধরণের কারসাজি করছে কিনা তার খোঁজ নিবেন। ব্যবাসায়ীরা কোন ধরণের কারসাজি না করতে পারে তার জন্য আমরা বেসরকারি ভাবে আমরা চাল আমদানি শুরু করছি।
এসময় ডিলাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বাইরে ওএমএস ও খাদ্যবন্ধাব চাল পাওয়া যায় আমরা তখন ঠিক থাকতে পারবো না। আর যারা চাল নিবেন আপনারা খাবার চেষ্টা করবেন। এই চাল বিক্রি করবেন না। এই চাল কিনতে যাবেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজকে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই এখন মানুষ সরু চাল খেতে চায়। এতে বুঝা যায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। চাল নিয়ে কোন ব্যবসাই কোনো খেলা খেলতে যাবেন আগুনে হাত দিবেন না। কারণ মাসে ৩ লাখ মেট্রেক টন সরকারি চাল বাজারে ছাড়ার পর এই লোক গুলো আর বাজারে যাবে না।
পরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশসাক ও জিয়া হল প্রাঙ্গনে এই কর্মসূচিতে সবার মাঝে সুলভ মূল্যে চাল বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশসাক মো মঞ্জুরুল হাফিজ খাদ্য অধিদপ্তরে মো সাখওয়াত হোসেন পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, পরিচালক স্থানীয় সরকার ফাতেমা তুল জান্নাতসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: