বিভিন্ন দল বিএনপিকে বিদায় দিচ্ছে, তালাক দিচ্ছে: নানক

আব্দুল মান্নান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | ৩০ আগষ্ট ২০২২, ২২:৫২

সংগৃহীত

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বিএনপির নেতা-কর্রীরা বলে বাংলাদেশের জনগণ মাঠে নেমেছে। আর সেই ভয়ে নাকি আমরা তটস্থ হয়ে পড়েছি। মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন করতে চাই, কোথায় জনগন নেমেছে? মাত্র ১০ থেকে ৫০ জনকে যদি জনগন মনে করেন, তাহলে ভূলের সাগরে হাবুডুবি খাচ্ছেন। কেবল শুরু হয়েছে, বিভিন্ন দল আপনাদের বিদায় দিচ্ছে, তালাক দিচ্ছে। যখন দলের ভিতরের তালাক শুরু হবে, মির্জা ফখরুল দিশাও পাবেন না। দলের ভিতরের মুক্তিযুদ্ধের শক্তি যদি জেগে ওঠে, তাহলে আপনার নেতা খুনি তারেক রহমানকেও তালাক দিবে।’

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৯ আগস্ট) রাত আটটায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জহির রায়হান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, পাকিস্তানিদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে প্রবেশ করে। কিন্তু দেশের আপামর জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে। ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্টে যারা ভূমিকা রেখেছিলো তাদেরকে নিয়ে বিএনপি গঠন করা হয়েছিলো। তাদের মাধ্যমে নির্বাচনের আয়োজন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলো বিএনপি। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃতি খুনিদের জেনারেল জিয়া প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

তিনি বলেন, আজকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে সরাসরি জেনারেল জিয়া জড়িত। জেনারেল জিয়া ছিলেন পাকিস্তানের অনুচার। তার প্রমান, আমরা যখন বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচার করতাম তখন আমাদের উপর নির্যাতন করা হতো। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজার থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিলো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সফলতার পেছনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সবসময় কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু জেলে থাকা অবস্থায় সকল বঙ্গমাতা নেতাকর্মীকে আগলে রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন নেতা। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে ছাত্রলীগই দেশের সকল আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ছাত্রলীগ ছিল অগ্রগামী। ছাত্রলীগ কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন তারা একটি সৃজনশীল ও মানবিক সংগঠন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। ঘাতকরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেই এদেশ থেকে তার নাম মুছে ফেলা যাবে। কিন্তু তারা জানতো না যে বঙ্গবন্ধু রয়েছেন সকল বাঙ্গালির অন্তরে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজের ভার নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বাঙ্গালির স্বপ্নের পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছেন। তিনি এদেশের মানুষকে স্বাবলম্বী করেছেন। তিনি মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করেছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।

সভায় জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: