ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গতকাল (২৮ মার্চ) রবিবার দিনব্যাপী তান্ডবলীলা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর নতুন পথে হাটছে হেফাজতে ইসলাম। এবার তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে। গুজবে বলা হচ্ছে রাতে পুলিশ, বিজিবি ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাদরাসা গুলোতে অভিযান চালাবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তারা এও প্রচার করছে, কখন কিভাবে কোন মাদরাসায় অভিযান চালানো হবে।
বিভিন্ন ভূয়া ফেসবুক একাউন্ট থেকে এসব তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। সেখানে বলা হচ্ছে, আজ রাতে কুমিল্লা বর্ডার দিয়ে ভারত থেকে বিপুল সংখ্যক বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। পরে কুমিল্লা হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন মাদরাসায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনী গভীর রাতে আক্রমণ করবে এবং শহীদ বাড়িয়া মাদরাসায় প্রথমেই অভিযান চালানো হবে। সেসব ফেসবুক একাউন্ট থেকে বাংলাদেশে তালেবান স্টাইলে হামলা চালানোর হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
তবে, এ সব তথ্য মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, সাধারণ ধর্মপ্রাণ জনগণকে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে এবং মিথ্যা ফতুয়া দিয়ে সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নিতে উৎসাহিত করে যাচ্ছে হেফাজতে ইসলাম সংগঠনটি, তবে এ ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উল্লেখ্য, গতকাল হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে উত্তাল হয়ে উঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। হরতালকারীরা সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলা হয় ট্রেনেও। আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মিদের বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। পৌরসভা, জেলাপরিষদসহ বিভিন্ন সরকারী অফিস ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এবং এসব প্রতিষ্ঠানের গাড়ি আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করা হয়। দিনব্যাপী সংঘর্ষে শুধু সরাইলেই দুজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও এরপর থেকে হেফাজত নেতাকর্মী ও বিভিন্ন মাদরাসাছাত্ররা জেলা শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা শুরু করে। এসব ঘটনায় দুই সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: