-2022-07-26-20-56-39.jpg)
করোনা মহামারির ধকল সামলে ওঠার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে আমদানিনির্ভর দেশগুলো।
সংকট মোকাবিলায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে জোর দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশ সরকারও সংকটকালীন দেশের মানুষকে কৃচ্ছতা সাধনের আহ্বান জানাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীসহ সারাদেশে শিডিউল করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং চলছে। জ্বালানি সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
শুধু বিদ্যুৎই নয়, জ্বালানির্ভর অন্য সব ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হতে ১৪ দফা নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নির্দেশনায় অপ্রয়োজনে বৈদ্যুতিক পাখা, বাতি, এসি, টেলিভিশন ব্যবহার বন্ধ করাসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সভা, বিদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা এবং কাগজের উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করার বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
এনবিআর ও এর অধীন সব দপ্তরকে গতকাল সোমবার (২৫ জুলাই) এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক আদেশে এনবিআর বলেছে, চলমান বৈশ্বিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে বিদ্যুৎ খাতে ২৫ শতাংশ এবং জ্বালানি খাতে ২০ শতাংশ খরচ সাশ্রয়ে এই মিতব্যয়িতা চর্চার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৪ নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- অফিস কক্ষে অবস্থান না করলে কক্ষের বৈদ্যুতিক পাখা, বাতি, এসি, টেলিভিশন ইত্যাদি যন্ত্র বন্ধ নিশ্চিত করা; বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহারে সর্বোচ্চ মিতব্যয়িতা নিশ্চিত করা; অফিস কক্ষ, অফিস করিডর, সম্মেলনকক্ষসহ অন্যান্য স্থানে অনাবশ্যক বাতি না জ্বালানো; এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না রাখা; অপ্রয়োজনীয় আলোকসজ্জা পরিহার করা; গাড়ির জ্বালানি খরচ কমানোর জন্য গাড়িতে এসির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা; গাড়ির অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার পরিহার করা; গাড়ির জ্বালানি বাবদ খরচ বিদ্যমান খরচ থেকে ২০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যে অফিস প্রধানের নিয়মিত তদারকি করা; সব সভা যত দূর সম্ভব অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে করা; এনবিআরের কর্মচারীদের অত্যাবশ্যক না হলে বিদেশে ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা; দাপ্তরিক কাজে কাগজসহ সরঞ্জামাদির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা (যেমন- কাগজের উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় প্রিন্ট পরিহার করতে হবে)।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: