বরিশালের মুলাদীতে ৮ মাস আগে বিয়ে করা স্ত্রীকে তালাক দেয়ার ৪ দিন পর অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী শ্যালিকাকে (১৫) বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের উত্তর কাজিরচর গ্রামে ঘটে এ ঘটনা।
অভিযুক্ত জুয়েল হাওলাদার ওই গ্রামের মৃত খলিল হাওলাদারের ছেলে। তার নববিবাহিতা স্ত্রী আফসানা আক্তার একই উপজেলার কাজিরচর (খাসেরহাট) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৮ মাস আগে জুয়েল পার্শ্ববর্তী মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের সালাম বেপারীর মেয়ে রোকসানা বেগমকে বিয়ে করে। গত ২৫ এপ্রিল রোকসানাকে খোলা তালাক দেন। এর চারদিনের ব্যবধানে স্ত্রীর আপন বোন কিশোরী আফসানাকে বিয়ে করে জুয়েল।
এলাকাবাসী জানান, বিয়ের পর জুয়েল ও রোকসানার সংসার ভালোভাবেই চলছিল। কিন্তু বোনের শ্বশুর বাড়িতে যাতায়াতের সুবাদে রোকসানার ছোট বোন আফসানার ওপর দৃষ্টি পড়ে জুয়েলের। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরী শ্যালিকা আফসানার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। এর এক পর্যায়ে শ্যালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। শ্যালিকা জুয়েলকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। বিয়ে না করলে ধর্ষণ মামলা করার হুমকি দেয় শ্যালিকা। মামলা থেকে রক্ষা পেতে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে শ্যালিকাকে বিয়ে করেন জুয়েল।
জুয়েল হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, সংসারে স্ত্রীর সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। কয়েকদিন আগে তাকে তালাক দিয়েছেন। পরে শ্যালিকা আফসানার সম্মতিতে তিনি তাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন।
কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মন্টু বিশ্বাস জানান, জুয়েল স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তার ছোট বোনকে বিয়ে খবর তিনি শুনেছেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে মুলাদী থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান জানান সাংবাদিকদের কাছে এ ধরনের খবর তিনি শুনেছেন। তবে এ ব্যাপারে কোনো পক্ষ থেকে লিখিত কিংবা মৌখিক কোনো অভিযোগ তিনি পাননি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: