দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট। এই ঘাট দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা লঞ্চ, স্পিডবোট অথবা ফেরিতে পাড়ি দেয় উত্তাল পদ্মা। সকাল থেকে ১২টি স্পিডবোট শিমুলিয়া থেকে মাঝিরকান্দি ও বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে; লঞ্চ ছেড়ে গেছে ৮টি।
এতোদিন রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিণের জেলাগুলোর স্থলপথে সরাসরি যোগাযোগ না থাকায় পদ্মা সেতু চালুর আগে দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীদের ভোগান্তির কোনো সীমা ছিল না।
ফলে রোববার সকাল থেকে সর্বসাধারণের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে শিমুলিয়া ঘাটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, সকাল থেকেই লঞ্চ-স্পিডবোট যথানিয়মে চলাচল করছে তবে যাত্রীসংখ্যা অনেক কম। শিমুলিয়া ঘাট অনেকটাই যানবাহন শূন্য, কোলাহলমুক্ত। অনেক লঞ্চ ও স্পিডবোটকেই যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
পদ্মা সেতু চালুর পরেও কেন ঘাটে এলেন এমন প্রশ্নের জবাবে মাঝিরকান্দিগামী স্পিডবোটের এক যাত্রী সানাউল্লাহ বলেন, আমার বাড়ি ঘাট এলাকার পাশেই, তাই আমি নৌপথ বেছে নিয়েছি।
ফরিদপুরগামী আরেক যাত্রী সাবিহা বলেন, তাড়াতাড়ি যেতে হবে তাই স্পিডবোটে পাড়ি দিচ্ছি। সকাল থেকে শুনেছি, পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি যাবে। কিন্তু আমার যেতে তাড়া আছে, তাই আমি স্পিডবোটে পাড়ি দিচ্ছি।
এদিকে ভোরে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ জুন) ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ফলক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুতে তিনিই প্রথম টোল পরিশোধ করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: