সিটি করপোরেশন হওয়ার পর তৃতীয়বারের মত নগর পিতা বেছে নিতে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছে কুমিল্লা সিটির ভোটাররা। বুধবার সকাল ৮টায় নির্ধারিত সময়েই এ নগরীর ১০৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
সোয়া দুই লাখের বেশি ভোটারের এ নগরে ভোট নেওয়া হচ্ছে ইভিএমে। আর এবারই প্রথম সব কেন্দ্র ও ভোট কক্ষে রয়েছে সিসি ক্যামেরা।
সকালে কুমিল্লার আকাশে মেঘ থাকলেও সেটা বৃষ্টি ঝরানোর মত নয়। সড়কে অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছে। রাস্তায় মানুষের চলাচল খুব বেশি নেই, তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি দৃশ্যমান সর্বত্র।
কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ জানান, ভোর ৬টা থেকেই ১০৫টি কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ করার সব ধরনের প্রস্তুতিই তারা নিয়েছেন।
বিএনপি দলীয়ভাবে এ ভোটে না থাকলেও দল ছেড়ে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দুইজন। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীতো আছেই। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার উত্তাপও আছে। তবে প্রচারের শুরু থেকে এ পর্যন্ত কোথাও কোনো গোলযোগ হয়নি, ভোটের দিনও বড় কিছু ঘটার কোনো শঙ্কা ইসি কর্মকর্তারা দেখছেন না।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ঢাকায় ইসি সচিবালয় থেকে এবং রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হবে ভোট পরিস্থিতি। কোনো ধরনের অনিয়ম বা গোলযোগের সুযোগ নেই; কমিশন তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন, ইভিএমে যাতে সুন্দরভাবে ভোটারা ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভোট দিতে শ্লথগতি বা কোনো ধরনের ত্রুটি যাতে না হয়, সে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আঙ্গুলের ছাপের পাশাপাশি এনআইডি নম্বর দিয়েও যাতে ভোট দিতে পারে, সে ব্যবস্থা থাকায় দ্রুত ভোট গ্রহণ হবে।
নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার চার মাসের মধ্যে বুধবারই প্রথম ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সঙ্গে পাঁচ পৌরসভা, ১৩০টি ইউপি ও এক উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে। তবে প্রচারে সামনে রয়েছে বড়, অর্থাৎ কুমিল্লার নির্বাচনই।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: