৫০ টন মাছের পোনা অবমুক্ত কাপ্তাই হ্রদে

সময় ট্রিবিউন | ৩ মে ২০২১, ০৫:০৬

ছবি: সংগৃহীত

কাপ্তাই হ্রদের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে এবং হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের আধিক্য বাড়ানোর জন্য মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। রবিবার (২ মে) সকালে বিএফডিসির ঘাটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার। কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্র, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. মো. আবদুল লতিফ, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি), রাঙামাটির ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

কাপ্তাই হ্রদে প্রাকৃতিক প্রজননের পাশাপাশি কার্পজাতীয় মাছের উৎপদান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএফডিসির নিজস্ব হ্যাচারিতে উৎপাদিত ৫০ মেট্রিক টন মাছের পোনা কাপ্তাই হ্রদে অবমুক্ত করা হবে।

মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি), রাঙামাটির ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর আমরা কাপ্তাই হ্রদে ৪০ টন কার্পজাতীয় মাছ অবমুক্তকরণের ক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করেছি। চেষ্টা করবো লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ টন বেশি পোনা অবমুক্ত করতে। কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছ কমে যাওয়ার কারণে এ বছর আমরা কার্পজাতীয় মাছের পোনা বেশি অবমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘আগে কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের জন্য তিন মাস মাছ আহরণ বন্ধ থাকলেও বেকার হয়ে পড়া জেলেদের কোনও সহযোগিতা করা হতো না। জীবিকার কারণে জেলেদের মাছ আহরণ করতে হতো নিষেধাজ্ঞার সময়টাতেও। কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেকার হয়ে পড়া জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন আর জেলেরা চুরি করে মাছ ধরে না, এর ফলে কাপ্তাই হ্রদে বহু বিলুপ্ত প্রজাতির মাছের সন্ধ্যান পাওয়া যাচ্ছে।’

পরে ১০ জনকে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণের মধ্য দিয়ে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং নিষিদ্ধ জাল পোড়ানো হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: