আওয়ামী লীগের তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের কোথাও কোনো মানুষ না খেয়ে মারা যায়নি বলে দাবি করেছেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, এই ১৩ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে একজন মানুষ না খেয়ে মারা গেছে এ তথ্য যদি কোনো সাংবাদিক দেখাতে পারে, তা হলে আমি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বাগ-বানিয়াজুরী এলাকায় ব্রি-ধান ৯২ জাতের বীজ উৎপাদনকারী ব্লকের কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, '৭১-এর যুদ্ধপরবর্তী সময়ে দেশে সাড়ে সাত কোটি মানুষ। জমি ছিল মাথাপিছু ২৮ শতাংশ। এখন সতেরো কোটি মানুষ, জমি মাথাপিছু ১০ শতাংশ। আগে খাদ্য অভাব ছিল, খাদ্য ঘাটতি ছিল। খাদ্যের জন্য সারা পৃথিবীতে আমরা খাদ্যের ঝুড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। অন্য দেশের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া মানুষকে খাওয়ানো কঠিন হয়ে যেত। তখন দেশে দুর্ভিক্ষ হতো। প্রতি বছর আশ্বিন-কার্তিক মাসে মঙ্গা হতো। কোনো মানুষের ঘরে খাবার থাকত না।
সেই বাংলাদেশে আজকে কোনো মানুষ দুই বেলার কম খায় না, সবাই দুই বেলার বেশি খায়। কোনো কোনো বছর খাদ্য উদ্বৃত্ত হচ্ছে। আমরা বহির্বিশ্বে তা রপ্তানি করছি। আমাদের এই সাফল্য এবং অর্জন সফল হয়েছে সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্বে।
তিনি বলেন, প্রতি বছর আমাদের ২৪ হাজার কোটি টাকার ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। সম্প্রতি ইউক্রেনের যুদ্ধ, করোনা এসব কারণে বিদেশ থেকে তেল আসছে না। ৬০০ ডলার টনের ভোজ্যতেল বেড়ে হয়েছে ১৮০০-২০০০ ডলার টন। শিপের ভাড়া বাড়ছে, জাহাজের ভাড়া বাড়ছে। তার জন্য তেলের দাম কমানো যাচ্ছে না।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ, ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমান, বানিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসআর আনসারী বিল্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: