"আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে শহীদ মিনারকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মোট ছয়টি স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করেন। নিরপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন ইউনিফর্ম পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশ, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, ডিবি টিম, র্যাব ও সোয়াত।"
শনিবার শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (বিপিএম) বার শফিকুল ইসলাম শহীদ মিনারের নিরাপত্তার বিষয়ে এমনটি জানান।
শফিকুল ইসলাম বলেন, শহীদ মিনারের সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় ছয়টি ইউনিটে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। যেখানে থাকবেন ইউনিফর্ম পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশ, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, ডিবি টিম, র্যাব ও সোয়াত। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতির উপর নির্ভর করে আলাদা নিরাপত্তা নেয়া হবে। তাঁদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে অন্যান্য সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ জনগনকে বিভিন্ন ধাপে শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন,শহীদ মিনারকে কেন্দ্র করে চারিদিকের প্রত্যেকটি রাস্তায় পুলিশের আলাদা চেকপোস্ট রাখা হবে। চেকপোস্টের ভেতর বাহির এলাকা সম্পূর্ণ সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। যারা পলাশী মোড় হয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন তাদেরকে তল্লাশির মাধ্যমে আসতে দেওয়া হবে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে যেসমস্ত আবাসিক মেস বা হোটেল আছে আজ রাত থেকে পুলিশ সেসব জায়গায় তল্লাশি করবেন বলেও জানান তিনি।
শহীদ মিনার এলাকাজুড়ে কোনো হকার কিংবা রাজনৈতিক ব্যানার ফেস্টুন থাকবেনা। বিদেশী রাষ্ট্রদূত কূরনিতিক যারা শ্রদ্ধা নিবেদনে আসেন তাদের জন্য জিমনেসিয়াম এলাকায় আলাদা করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হবে বলে উল্লেখ করেন শফিকুল।
তাছাড়া, শ্রদ্ধা নিবেদনে আশা সকলকে যাথাযত রুটম্যাপ অনুসর করে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। যেন প্রবেশ ও প্রস্থানে ঝামেলা না হয় সেই মোতাবেক সকলকে সহনশীলতা বজায় রেখে শহীদ মিনারে আসার জন্য বলেন। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্যও আলাদা করে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি বিধিনেষেধ ও নিজেকে সচেতনতার সাথে শহীদ মিনারে আসার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: